সোমবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ‘ঋণের সুদ মওকুফের বিষয় বিবেচনা করবে সরকার’
‘ঋণের সুদ মওকুফের বিষয় বিবেচনা করবে সরকার’
এস ডব্লিউ নিউজ: ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফের বিষয়ে সরকার বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,‘যারা ঋণ নিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে দিতে পারেননি তাদের এখনই সুদ পরিশোধ করতে হবে না। এনিয়ে আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসব।’
সোমবার গণবভন থেকে রাজশাহীর আট জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের কাজ নেই। বিশেষ করে একেবারে নিম্ন আয়ের লোক, এমনকি ছোটখাটো কাজ করে যারা খায় তাদের কষ্ট আমরা জানি। ছোটখাটো ব্যবসা করা, কৃষিকাজ করে তাদের কথা চিন্তা-ভাবনা করে প্রণোদনা দিয়েছি। সেখান থেকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে। মাত্র ২ শতাংশ ইন্টারেস্টে আমরা এই টাকাটা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘ছোটখাটো ব্যবসায়ী যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের মাত্র ২ শতাংশ সুদে টাকা দিয়ে দিচ্ছি। সেই ব্যবসাগুলো যাতে চালু রাখতে পারেন সেটা আমরা দেখবো। যারা ইতিমধ্যে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছেন কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সব বন্ধ থাকায় আপনাদের ঋণের সুদ বেড়ে গিয়েছে। সেটার জন্য চিন্তা করবেন না। আপনাদের সেই সুদ এখনই নেয়ার কথা না। এটা নিয়ে আমি আবার অর্থমন্ত্রীর সাথে বসবো। কাজেই সুদগুলো যাতে স্থগিত থাকে এবং পরবর্তীতে কতটুকু মাফ করা যায়, কতটুকু আপনারা নিয়মিত দিতে পারেন সেটা বিবেচনা করা হবে। এটা নিয়ে কেউ দুশ্চিন্তায় ভুগবেন না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তাদের সুরক্ষাকে খুবই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে কাজ করছি। তিন হাজার ৪৬৪ জন ডাক্তার অনলাইনের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য সহযোগিতা দিচ্ছি। তাদের ভালো-মন্দ দেখছি এবং তারাও যেন সুরক্ষিত থাকে যা যা প্রয়োজন সেটা দিয়ে যাচ্ছি।’
কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘কৃষির জন্য আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি, যাতে কৃষিকাজ অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র-মাঝারি কৃষিতে যারা সরাসরি কাজ করে বিশেষ করে পোল্ট্রি, মৎস্য, ডেইরি ফার্মসহ প্রত্যেকে সহযোগিতা পাবে। সবাই এখান থেকে অর্থ নিয়ে কাজ করতে পারবে। এখানে আমরা প্রায় ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ভর্তূকি দিচ্ছি।’
বোরো ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সংগ্রহ করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান, ১০ লাখ মে. টন চাল, ২ লাখ ২০ হাজার মে. টন আতপ এবং ৮০ হাজার মে. টন গমসহ ২১ মেস্ট্রিক টন সংগ্রহ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। ইনশাল্লাহ আমাদের কোনো খাদ্য সংকট হবে না। যদি আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণ চিন্তায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। রমজান ও ঈদ সামনে রেখে গরীবদের মাঝে আবারও খাদ্য বিতরণ করা হবে।’
জীবন-জীবিকার তাগিদে ধীরে ধীরে সবকিছু চালু হবে জানিয়ে সবাইকে সুরক্ষিত থেকে কাজ করার কথা বলেন সরকার প্রধান।