রবিবার ● ১০ মে ২০২০
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছার বোয়ালিয়া পাল পাড়ায় সরকারি কোন ত্রান সামগ্রী পৌছায়নি সংবাদে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
পাইকগাছার বোয়ালিয়া পাল পাড়ায় সরকারি কোন ত্রান সামগ্রী পৌছায়নি সংবাদে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
এস ডব্লিউ নিউজ: সংকট মুহুর্তে পাইকগাছার বোয়ালিয়া পাল পাড়ায় সরকারী ভাবে কোন ত্রান সামগ্রী পৌছায়নি এমন খবর প্রকাশ হলে এলাকায় বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে স্থানীয় এমপি আকতারুজ্জামান বাবু’র নির্দেশে শনিবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু নেতৃত্বে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পাল পাড়ায় হাজির হলে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে পাল মহাশয়রা মন্তব্য করে বলেন পাল পাড়ার অনেক মানুষ এখন ত্রান দিতে পারেন। এ সময় সংবাদকর্মীরা সহ উপজেলা আওয়ালীগের সহ- সহ সভাপতি স্থানীয় বাসিন্দ সমিরন কুমার সাধু, যুবলীগ নেতা এমএম আজিজুল হাকিম সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় নরেন পাল জানান,বাপ-দাদাদের ঐতিহ্যোর এ ব্যবস্যা ধরে রেখেছি। অর্থ -সম্পদও হয়েছে কিন্তু করোনায় পড়ে ২ মাস ধরে বে-কায়দায় আছি। প্রতিদিন সংসারে ৪ কেজি চাল, ৩শ টাকার বাজার সব মিলিয়ে প্রতিদিন ৮/৯ শত টাকা খরচ হয়। সেখানে ৫/৬ কেজির চাল-ডালের ত্রান কি করব। তিনি আরোও জানান, সেদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সরকারি ত্রাণ দেওয়া হয়েছে কিনা এর জবাবে আমি সহজ সরল ভাবে বলেছিলাম এখনো সরকারী সাহায্য বা ত্রান পাইনি। নরেন পালের দুই ছেলে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও তারা বাইকে চলাফেরা করে। হরেন পালের স্ত্রী সন্ধ্যা পাল জানান, স্থানীয় প্রতিবেশি সমিরন সাধুর দেওয়া খাদ্য সামগ্রী আমিসহ অনেকেই পেয়েছে। বিধান পাল বলেন, ত্রান পাওয়ার মতো যোগ্য লোক এ পাড়াতে নেই বললেই চলে। তার পরেও ক’দিন পুর্বে পূজা পরিষদের সভাপতি সমিরন সাধু প্রায় ৫শ পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন। তার মধ্যে এ পাড়ার কয়েকটি পরিবারে খাদ্য সহয়তা পান। এ বিষয়ে গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যন গাজী জুনায়েদুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে প্রকৃত যোগ্যদের মাঝে সরকারী বে-সরকারী ত্রান দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ২০ কেজির চাল ও রেশন কার্ডের তালিকা হচ্ছে এরা ঈদের পুর্বে সাহায্য পাবেন বলে জানান।