রবিবার ● ২১ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ‘জীবন স্থবির থাকতে পারে না, স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলুন’
‘জীবন স্থবির থাকতে পারে না, স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলুন’
এস ডব্লিউ নিউজ: মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকলেও জীবন স্থবির হয়ে পড়বে না, জীবন চলতে থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তার সরকার করোনাভাইরাসের মধ্যেও উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির (একনেক) নিয়মিত সভার প্রারম্ভিক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এই সভার সঙ্গে সংযুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। তারপরেও অন্ততপক্ষে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যে, ধারবাহিকতটা বজায় রেখে উন্নয়নের মূল গতিটা ধরে রাখার। যে কারণে আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘দেশবাসীকে আমি এই অনুরোধ করবো যে, সবাই স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলবেন। কারণ, জীবন চলতে থাকবে, এটি স্থবির থাকতে পারে না। তারপরেও স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলার জন্য সকলকে আমি আহ্বান জানাব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র বিশ্বেই আজ এই সমস্যাটা চলছে। কাজেই এর হাত থেকে মুক্তি পেয়ে মানুষ যাতে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেটাই আমরা চাই।’ তার সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাবেক ও বর্তমান সাংসদসহ দেশে এবং প্রবাসে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন তিনি এবং এর কবল থেকে সবার মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমরা আমাদের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্যসহ দেশে ও প্রবাসে অনেককে হারিয়েছি। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে এই দোয়া করি, তিনি যেন আমাদেরকে এই করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি দেন।’
আজকের একনেক সভায় ১০টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ১০টি প্রকল্পের মধ্যে একটি প্রকল্প ব্যয়বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রায় নয় হাজার ৪৬০ কোটি নয় লাখ টাকা। সবগুলো প্রকল্প সরকারি অর্থে বাস্তবায়ন করা হবে।