শনিবার ● ৮ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছার বোয়ালিয়া ব্রিজ রোডের মাটি কেটে ফেলে রাখায় জনদূভোগ চরমে: এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভ
পাইকগাছার বোয়ালিয়া ব্রিজ রোডের মাটি কেটে ফেলে রাখায় জনদূভোগ চরমে: এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভ
পাইকগাছা প্র্রতিনিধি:
এটা কোন খাল নয়।পাইকগাছার জনগুরুত্বপূর্ণ বোয়ালিয়া ব্রিজ রোড।পাকা করনের জন্য রাস্তার মাটি কেটে রাখায় বৃস্টির পানি জমে খালে পরিণত হয়েছে।এভাবে মাসের পর মাস মাটি কেটে ফেলে রাখা হয়েছে রাস্তাটি।ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ।এমনকি পথচারিদের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।রাস্তার খাদের কিনারা দিয়ে,কারো বাড়ির উপর দিয়ে ও বাগানের উপর দিয়ে মেইন সড়কে বোয়ালিয়া মোড়ে আসতে হচ্ছে।রাস্তা সংলগ্ন বাড়ির অভিভাবকরা মহাচিন্তায় পড়েছে কখন বাড়ির ছোট বাচ্চা রাস্তার খাদে গিয়ে পড়ে। এতেকরে জনদূর্ভোগ চরমে পৌছায়াছে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া জন গূরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি কাজ না করে ফেলে রাখায় এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বোয়ালিয়া ব্রিজ রোড।পাইকগাছা থেকে রাড়ুলী,বাকা বাজার আশাশুনির দরগাহপুর ও সাতক্ষীরার সদরে যাওয়ার সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।এ পথে প্রতিদিন হাজারের অধিক মটরসাইকেল,ভ্যান,শত শত হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করতো।এখন এটি পতিত সড়কে পরণিত হয়েছ। মেইন সড়কের বোয়ালিয়া মোড়ে অর্ধশতাধীক ব্যাবসা প্রতিস্ঠান,তিনটি অটো রাইস মিল,তেলের মিল এবং বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারও হ্যাছারী এ সড়কের পাশে অবস্থিত।গুরুত্বপূর্ণ বীজ উৎপাদন খামারে যাওয়ার একমাত্র পথ এটি।বের হওয়ার পথ না থাকায় জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।বোয়ালিয়া মোড়ের মুদি ব্যাবসাহী আমিরুল,রামকৃষ প্রহ্লাদ সাধু জানান,মাসের পর মাস রাস্তা খুড়ে রাখায় ক্রেতারা দোকানে আসতে পারছে না।ব্যাবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে,কিছু দোকান বন্ধ হয়ে গেছে।পুরাইকাঠি গ্রামের মফেজ গাজী বলনে,বোয়ালিয়া মোড় থেকে বাড়ি আধা কিলো মিটারেরও কম পথ আর রাস্তা খুড়ে রাখায় প্রায় তিন কিলো পথ ঘুরে যেতে হয়।সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় গ্রামের অলি গলি পথে মটরসাইকেল ,ভ্যান,হালকা যানবাহন চলাচল করায় এসব রাস্তাগুলিও ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সুত্রে জানা গেছে,প্রায় ২.৩ কিলো মিটার বোয়ালিয়া সড়কটি নির্মানের জন্য ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার টেণ্ডার হয়েছে।এফটি এণ্ড বিবিজেভি জয়েণ্ট ভেনসার নামে প্রতিস্ঠান কাজ পেয়েছে।ঠিকাদার ডুমুরিয়ার বাবলু রহমান।তবে কাজ করছে স্থানিয় ঠিকাদার মিরাজুল ইসলাম।সড়কে পাচটি কালর্ভাট নির্মানের সময় নিম্নমানের ইট ও নির্মান সামগ্রী ব্যাবহার করায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করে । কিন্ত ঠিকাদার শিডিউল মোতাবেক কাজ না করে তার ইচ্ছামত কাজ করে চলেছে। এ বিষয়ে গোপাল পুর গ্রামের এস এম আহম্মদ আলী বলেন,নিম্নমানের ইট ও সিমেন্টের পরিমান কম দিয়ে কালভার্ট নির্মাণ করা কালীন ঠিকাদারের লোকদেরকে সঠিক ভাবে কাজ করতে বলা হলে তা তাহারা কর্নপাত না করে হুমকি ধমকি ও ভয় দেখায়।এ বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকেও জানানো হয়েছিল। কয়েকমাস যাবত রাস্তা খুড়ে ফেলে রাখায় গুরুত্বপূর্ণ বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের বীজ,বিভিন্ন মালামাল ও খামারের কৃষি কাজের ব্যাবহৃত ট্র্যাকটর সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আনা নেয়ায় মারত্বক অসুবিধা হচ্ছে। এর ফলে চাষাবাদের প্রভাব পড়ছে। খামারের সরবরাহকৃত বীজধান সহ বিভিন্ন সামগ্রী ভ্যানে করে অলি গলি পথে নিয় ট্র্যাকে তুলতে হচ্ছে বলে খামার সুত্রে জানা গেছে। এব্যাপারে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ কামাল উদ্দীন মোল্লা বলেন,কয়েক মাস যাবত সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় খামারের সরবরাহ ও উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। এর ফলে চাষাবাদে বিলম্ব হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত নির্মাণ হলে খামারের সরবরাহ ব্যাবস্থা স্বাভাবিক হবে। এ বিষয়ে ঠিকাদার মিরাজুল ইসলাম বলেন,বোয়ালিয়া ব্রীজের দিক থেকে বালি ও খোয়া ফেলা অব্যাহত রয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যো বালি ও খোয়া দিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হবে।এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান খান জানান, আমি নতুন এসেছি। সড়কটির নির্মাণ কাজ যাহাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।