বুধবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » উপকূল » নিষেধাজ্ঞা শেষে সুন্দরবনের নদী ও খালে মৎস্য আহরন শুরু করেছে উপকুলের জেলেরা
নিষেধাজ্ঞা শেষে সুন্দরবনের নদী ও খালে মৎস্য আহরন শুরু করেছে উপকুলের জেলেরা
মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলা
দীর্ঘ দুইমাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে ফিরতে শুরু“ করেছে উপকূলের জেলেরা। এর আগে (১ সেপ্টেম্বর)মঙ্গলবার বন বিভাগের বিভিন্ন স্টেশন থেকে পাশপামিট সংগ্রহ করে তারা। বুধবার সকাল থেকে ট্রলার ও নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে মাছ ধরতে নামে জেলেরা। দীর্ঘসময় পর মাছশিকারের অনুমতি পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে জেলেপরিবারে। আর দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেশি মাছ পাওয়ার আশা জেলেদের।
প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে গত ১ জুলাই থেকে ৩১আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী-খাল ও জলাভূমিতে জেলেদের প্রবেশ ও সকল প্রকার মৎস্য আহরণ বন্ধরাখে বন বিভাগ। দুথমাসের এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে সোমবার রাত ১২টার পর।
বনবিভাগ সুত্রে জানাযায়, প্রায় ৬হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনে ছোট বড়মিলিয়ে ৪৫০টি নদী-খাল রয়েছে। বনাঞ্চলের এজলাভূমির মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত ৩০টি খাল এবং২৫ ফুটের কম প্রশস্ত খালে সারা বছরই মাছ ধরানিষিদ্ধ থাকে। আর বাকী অংশের নদী-খাল ওজলাভূমিতে পাশধারী জেলেরা মৎস্য আহরণ করেজীবিকা নির্বাহ করেন।
সুন্দরবনে মৎস্য আহরণের উপর উপকূলের প্রায় ৩০হাজার জেলে পরিবারের জীবন-জীবিকা নির্ভর। এদেরবেশির ভাগই জেলেই বংশ পরম্পরায় সুন্দরবনে মাছধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। মোংলা ওআশপাশের এলাকাসহ সুন্দরবন লাগোয়া এলাকারবিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীও বনের মৎস্য সম্পদ আহরণও বিকিকিনির সঙ্গে জড়িত।
২০১৯ সাল থেকে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে জুলাই ও আগস্ট মাস সুন্দরবনের নদী ও খালগুলোতে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ।