শুক্রবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » গলদা চিংড়ীর দাম কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ ডুমুরিয়ার চাষীরা
গলদা চিংড়ীর দাম কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ ডুমুরিয়ার চাষীরা
অরুন দেবনাথ ডুমুরিয়াঃ
ডুমুরিয়ায় মহামারী করোনায় গলদা চিংড়ীর দাম এবছর প্রতি কেজিতে ৩শ থেকে ৪শ টাকা কম হওয়ায় ডুমুরিয়ায় চাষীরা ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।বাজারে ধস নামায় কেড়ে নিয়েছে চাষীদের সোঁনালী স্বপ্ন, কারোবা আবার মাথায় হাত। আড়ৎদাররা বলছে অনাবৃষ্টিই জন্য দায়ী। অপর দিকে মৎস্য অধিদপ্তর বলছে আন্তজার্তিক বাজারে চাহিদা না থাকাই এর আন্যতম কারন। সব মিলিয়ে পথে বসতে চলেছে চাষীরা। তবে যে কোন সময় দাম পরিবর্তন হতে পারে বলে আশ্বাস্ত করেছেন মৎস্য অধিদপ্তর। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায় ডুমুরিয়ায় প্রায় ২৫হাজার, ৮শ গলদা চিংড়ীর ঘের রয়েছে। চিংড়ীচাষে ডুমুরিয়া খুলনা জেলার শীর্ষে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও চাষীরা ব্যাপক চিংড়ী চাষ করেছে। বুকে ধারন করেছিল সোনালী স্বপ্ন। কিন্তু বিলিন হতে বসেছে সকল সম্বাবনার দ্বার। গত বছর যে চিংড়ীর দাম ছিল প্রতি কেজি ১৩শ থেকে ১৪শ টাকা। এবছর তার দাম ৯/১০শ টাকা। উপজেলার খর্নিয়া, ডুমুরিয়া সহ বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎ, আড়ৎদার, ডিপো মালিক ও চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বর্তমান মৎস্য মোকামে মাছের আমদানী খুবই কম। কখন বাড়বে মাছের দাম সে আশায় চাষীরা মাছ ধরছে না। যা কম-বেশী ধরা হচ্ছে তার আবার চাহিদা ও দাম কম। ঢিলে-ঢালা ভাবে চলছে বাজারের বেচাকেনা। রংপুরের মৎস্য চাষী রতন হালদার, গুটুদিয়ার মৎস্য চাষী শহিদ মোড়ল, বান্দার সুজিত মন্ডল, শোভনার আসাদুল ইসলাম, কাপালিডাঙ্গার কার্তিক মন্ডল সহ অনেক চাষী জানান, রেনু থেকে শুরু করে বড় করতে প্রায় ৬/৮মাস সময় লাগে। রেনু বা পিসের মুল্য, খাবার, লেবার, জমির হারি সহ এক কেজি মাছ তেরী করতে যে খরচ,এখন তার কমে বিক্রি করতে হচ্ছে। একান্ত টাকার প্রয়োজনে কিছু কিছু মাছ ধরতে হচ্ছে। মাছের দাম না বাড়লে আমাদের পথে বসতে হবে। ডিপো মালিক রোস্তম, শুকলাল, রহুল আমিন, নাহিদ সহ অনেকে জানান কোম্পানীতে মাছের রেট কম। তাই আমাদেরও কম দামে মাছ কিনতে হয়। আনোয়ারা মৎস্য মার্কেট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক গাজী মেহেদী হাসান বলেন কিছু কিছু অসাধু মৎস্য ব্যাসায়ীরা এর বাজার ও চাহিদা নষ্ট করে ফেলছে। যার খেসারত সবাইকে দিতে হচ্ছে। গলদা চিংড়ীর বাজারে ধস কেন এবং কবে বাজার দর ফিরে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও মান নিয়ন্ত্রক মজিনূর রহমান বলেন আমাদের চিংড়ী গুলি সাধারণত আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে রপ্তানী হয়ে থাকে। যেখানে স্টোকে গত বছরের মাছ রয়েছে। ফলে চাহিদা কমের পাশাপাশি দামও কম। তিনি আরো বলেন ইতপুর্বে বাগদা চিংড়ীর দাম ও চাহিদা কম ছিল। যা বর্তমান স্বভাবিক হয়েছে। অনুরুপ ভাবে বৈদেশীক বাজারে চাহিদা সৃষ্টি না হওয়া পযর্ন্ত দাম বৃদ্বির সম্ববনা দেখছিনা। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আবু বকার সিদ্দিকি বলেন মৎস্য চাষিদের উন্নত মানের চিংড়ি উৎপাদনের জন্য সাড়ে ১৩ কোটি পোণা প্রযোজন হয় কিন্তু ডুমুরিয়ার হ্যাচারিতে উৎপাদিত হয় ৬০ লক্ষ, বাকি ১২ কোটি ৪০ লক্ষ এর ঘাটতি থাকে। মৎস্যচাষিরা পাশ্ববতী জেলা থেকে মৎস্য পোণা আমদানি করে থাকে এতে আথিক ক্ষতি হয়েও থাকে।