বুধবার ● ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » সারাদেশ » মোংলা সমুদ্র বন্দরে আমদানী-রপ্তানি বানিজ্যি সচল সহ ১১ দফা নির্দেশনায় চলছে দৈনান্দিন দাপ্তরিক কার্যক্রম
মোংলা সমুদ্র বন্দরে আমদানী-রপ্তানি বানিজ্যি সচল সহ ১১ দফা নির্দেশনায় চলছে দৈনান্দিন দাপ্তরিক কার্যক্রম
মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলা
মোংলা বন্দরে শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় দৈনান্দিন দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১১ দফা নির্দশনার মধ্যে চলছে বন্দরের আমদানী-রপ্তানীর কাজ। করোনায় আক্রান্তের প্রায় ১০ দিন অতিবাহিত হলেও কোন কর্মকর্তা সুস্থ্য হয়ে কর্মস্থলে যোগদান করেনী। তাই বন্দরের পন্য আমদানী-রপ্তানীর সাথে জড়িত ব্যাবসায়ীরা কিছুটা বিরম্ভনায় পরলেও সিমিত সময়ের জন্য তাদের ব্যাবসায়ীক পলিসির মাধ্যমে বন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও বন্দর ব্যাবহারকারীদের সমন্নয় সচল রেখেছে এ সমুদ্র বন্দরকে।
করোনার সংক্রমন রোধে পালাক্রমে সীমিত পরিসরের জনবল ব্যবহার ও বন্দরের বানিজ্যি সচল সহ দৈনান্দিন দাপ্তরিক ও বন্দর পরিচালনায় ১১ দফা নির্দেশনা চলছে পন্য আমাদনী-রপ্তানীর কার্যক্রম। মোংলা সমুদ্র বন্দরের শীর্ষ ১০ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় গত সপ্তাহে এ নির্দেশনা জারি করে কতর্ৃপক্ষের পরিচালক প্রশাসন গিয়াস উদ্দিন । এ পরিস্থিতিতে দাপ্তরিক কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা বিরাজ করলেও তেমন প্রভাব পড়ছে না বলেও জানান তিনি। গেল দুথসপ্তাহের ব্যবধানে বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী, পরিচালক (প্রশাসন) গিয়াস উদ্দিন, হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন, সচিব ওহিউদ্দিন, প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল, সিভিল ও হাইড্রোলিক বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী রাবেয়া রউফ, বন্দর চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মাকরুজ্জামান মুন্সী ও তড়িৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী উম্মে কুলসুম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইতিমধ্যে বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী তত্বাবধায়ক আমির হোসেন নামের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়। এছাড়া আরও অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর শরিরে করোনার উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ্য রয়েছেন। করোনার এ প্রদুভাবের মধ্যে সীমিত আকারের জনবল দিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে কর্তৃপক্ষ। এতে বন্দরের বিভাগীয় বিভিন্ন দপ্তরে ফাইলের জট সহ গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং দৈনান্দিন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ফলে বন্দর ব্যবহারকারী, ব্যবসায়ী, ঠিকাদাররা সহ দাপ্তরিক ধীর গতির ফাঁদে পড়েছেন। এ অবস্থায় আগামীতে আরও প্রকট আকার ধারন করতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বন্দরের সার্বিক কাযক্রম স্বাভাবিক রয়েছে এবং করোনায় আক্রান্ত কর্মকর্তারা সুস্থ্য হয়ে উঠলে দাপ্তরিক কার্যক্রম অংশ গ্রহন করতে পারবেন বলে জানান আইসোলেসনে থাকা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক প্রশাসন মোঃ গিয়াস উদ্দিন। তিনি জানান, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপদ ও করোনার সংক্রমন রোধে নানামুখী নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আমাদনী-রপ্তানী সহ বন্দরের নিরাপত্তা, ট্রাফিক, হারবার, মেডিকেল এবং যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের কাজের পরিধি অনুযায়ী নুন্যতম লোকবল দিয়ে দৈনান্দিন কার্যক্রম পরিচালনা ও স্বাভাবিক রাখতে ইতিমধ্যে অফিস আদেশে ১১ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তবে বন্দরের শীর্ষ ১০ কর্মকর্তাসহ অন্যান্য যে সকল লোকজন করোনায় আক্রান্ত রয়েছে তারা এখনও আইসোলেশনে সুস্থ্য আছে। এছাড়া অন্য রোগে আক্রান্ত যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আছে বর্তমানে তারা সাররীক ভাবে সুস্থ্য রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই সুস্থ্য হয়ে সকলেই বন্দরের দাপ্তরিক কাজে যোগদান করবেন বলেও জানায় বন্দরের এ কর্মকর্তা।