শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
বুধবার ● ২৫ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » শীতের তীব্রতায় পাইকগাছায় লেপ-তোষকের কারিগরদের ব্যস্ততা বাড়ছে
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » শীতের তীব্রতায় পাইকগাছায় লেপ-তোষকের কারিগরদের ব্যস্ততা বাড়ছে
৬৩৯ বার পঠিত
বুধবার ● ২৫ নভেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শীতের তীব্রতায় পাইকগাছায় লেপ-তোষকের কারিগরদের ব্যস্ততা বাড়ছে

---

প্রকাশ ঘোষ বিধান :

শীতের তীব্রতা বাড়ায় লেপ-তোষকের চাহিদা বাড়ছে। শীতের শুরু থেকে পাইকগাছার লেপ-তোষকের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীত নিবারণে অনেকেই লেপ-তোষক তৈরীর অগ্রীম অর্ডার দিয়েছেন। আর এসব লেপ-তোষক তৈরী করতে কারিগররা কর্মচাঞ্চল্য হয়ে উঠেছে। শীতের সময় প্রতিটি দোকানে লেপ-তোষক তৈরীর চাহিদা বেড়ে যায়। তৈরী লেপ-তোষকের পাশাপাশি অগ্রীম অর্ডার দেওয়ায় লেপ-তোষক তৈরীতে কারিগররা ব্যস্ত রয়েছে। সিঙ্গেল ১টি লেপ ৫শ থেকে ৬শ টাকা, ডবল লেপ সাড়ে ৬শ থেকে সাড়ে ৮শ টাকা, সিঙ্গেল তোষক সাড়ে ৫শ থেকে ৬শ টাকা ও ডবল তোষক ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকগাছা পৌর বাজার, নতুন বাজার, কপিলমুনি বাজার, বাঁকা বাজার, আগড়ঘাটা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। এসকল দোকানে অর্ডারী লেপ-তোষকের পাশাপাশি তৈরী লেপ-তোষক সারি সারি সাজিয়ে রেখেছে। পাইকগাছা বেডিং এর মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, শীতের শুরুতে ভালই অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে কর্মব্যস্ততা আরো বাড়বে। শীত নিবারণে উপকরণ লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। শাহিনুর বেডিং এর মালিক শাহিনুর জানান, শীত এলে তুলা সহ বিভিন্ন উপকরণের দাম কিছুটা বেড়ে যায়। তাই আমাদের অধিক দামে মালামাল ক্রয় করতে হয়। কিন্তু চায়না থেকে আমদানী করা কম্বল লেপ-তোষক বাজার দখল করে রেখেছে। এতে দেশীয় তৈরী লেপ-তোষকের বাজার মার খাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাজারে ৯০ থেকে ১শ টাকায় চায়না কম্বল বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে অনেকেই লেপ তৈরী না করে কম্বল ক্রয় করছে। মিম বেডিং এ লেপ ক্রয় করতে আসা আব্দুস সালাম জানান, লেপ-তোষকের মূল্য বেশি বলে মনে হয়। তাই বাজারে সস্তায় পাওয়া চায়না কম্বল ক্রয়ে ঝুকছে ক্রেতারা। এ জন্য অনেকেই শীতে চায়না কম্বল ক্রয়ে আগ্রহী হচ্ছে।

লেপ-তোষকের কারিগর আলমগীর হোসেন জানান, প্রতিদিন ৪/৫টি লেপ তৈরী করা সম্ভব, আর লেপ-তোষক মিলে ৬/৭টি তৈরী করা যায়। বাজারে এখন গার্মেন্টস এর তুলায় লেপ-তোষক তৈরী হচ্ছে বেশি। শিমুল তুলার দাম বেশি হওয়ায় গার্মেন্টস এর তুলায় শীতের উপকরণ তৈরী হচ্ছে। গার্মেন্টস এর তুলায় একটি বালিশ তৈরী করতে ১শ টাকা খরচ হয়। আর শিমুল তুলায় একটি বালিশ তৈরী করতে ৬শ টাকা খরচ হয়। আর এ জন্য ক্রেতারা গার্মেন্টস এর তুলায় শীতের উপকরণ তৈরী করছে। শীত জেকে বসতে শুরু করেছে, তাই লেক-তোষকের চাহিদাও বাড়ছে। তিনি আরো জানান, শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষক তৈরীর চাহিদা আরো বেড়ে যাবে। শীতের শুরুতে লেপ-তোষক, যাজিমের বিক্রি বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দোকানগুলোতে সারি সারি লেপ-তোষক সাজিয়ে রেখেছেন।





আর্কাইভ