শুক্রবার ● ২৭ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় সাংবাদিকের জায়গা জবর দখল
পাইকগাছায় সাংবাদিকের জায়গা জবর দখল
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছা উপজেলায় কপিলমুনিতে সাংবাদিক মিন্টু’র জায়গা জবর দখল করে নিয়েছে ভূমিদর্ষুরা। ধ্বংস করা হয়েছে মূল্যবান ফলজ ও বনজ বৃক্ষ। আকষ্কিমভাবে ২৫নভেম্বর সকালে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বহিরাগত প্রায় ২০/৩০জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে মৃত সত্যেন্দ্রনাথ সাধুর পুত্র প্রভাবশালী অভিজিত সাধু এ দখল কাজ চালায়। গত বুধবার প্রভাতে স্থানীয় ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ সঙ্গীয় র্ফোস সহযোগীতায় অভিজিত সাংবাদিক পরিবারে প্রায় ৭০বছরের পূবৈ ক্রয়কৃত ভোগদখলকৃত জায়গা দখল করে। বাঁধা দিতে গেলে বাড়ির বৃদ্ধা ও মহিলাদের মারপিট করে ভূমিদর্ষু অভিজিতসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। ফাঁড়ি ইনচার্জ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিক পরিবারকে জেলে পাঠানোর ভয় দেখান।
পুলিশের উপস্থিতে সাংবাদিকের জায়গা দখল ও মামলার ভয় দেখানো হতবাক ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা। কাঁটাতারের ঘেরাবেড়াদিয়ে জায়গাদখল ও মূল্যবান গাছ কর্তণ করা হয়েছে। কাঁটাতারের ঘেরেবেড়া দিয়ে জিম্মি করে রাখা হয়েছে সাংবাদিক পরিবারকে। কাগজ পত্রদৃষ্টে দেখাযায় ২৫.১২.১৯৫৬সালে অভিজিত সাধুর পূর্বপুরষ কুঞ্জুবিহারী সাধু নিকট থেকে ২৫৬৫নং রেজিষ্ট্রকৃত কবলা দলিল মূলে খরিদ করেন সাংবাদিক মাতামহ। এসএ ১৯৩খতিয়ানে ৪২৫, ৪২৬/৫৯৩ দাগ ও বর্তমান বিআরএস ডিপি নং-৪১৬ এ ১০০২, ১০০৪ দাগে ০.৩৪একর সম্পত্তি রেকর্ডী মালিক সাংবাদিক পরিবার। এমনকি ক্রয় পরবর্তী সন সন করখাজনাও প্রদানকরে আসছেন এবং বাংলা ১৪২৭ সাল পর্যন্ত পরিশোধ। সরেজমিনে দেখাযায় রডসিমেন্টর পিলারে কাঁটাতারে ঘেরাবেড়া দিয়ে প্রায় ০.২২ একর সম্পত্তি দখল নিয়েছে। ভূমিদর্ষুর হাত থেকে বাজতে আর দখল ও ভয়ভৃতির আশঙ্কায় পাইকগাছায় থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন সাংবাদিক পরিবার নং-৮৮২, তারিখ ১৯.১১.২০। এর আগে পাইকগাছা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমআর-২৪৫/১৯ এবং একই আদালতে এমআর ৩৪/২০ মামলা করেন, যা চলমান রয়েছে।
সর্বশেষ স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান এর নিটক অভিযোগ করেন। ২৮নভেম্বর দিনধার্য্য করেন ইউপি চেয়ারম্যান। কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কওসার আলী জর্দ্দার অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি পুলিশকে কাজ বন্ধর করে দেওয়ার কথা বলছি। কপিলমুনি ফাঁড়ি ইনচার্র্জ ২৫নভেম্বর নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আদেশ নামা ওসি মাধ্যমে জারি করে নেমে পড়ে ভূমি দখলের সহযোগীতায়। আদালতের আদেশ নামায় উল্লেখ কাগজপত্র দেখা যায় উভয়ের খতিয়ান ভিন্ন। এরপরও সাংবাদিক এর জায়গা দখল কেনো এমন প্রশ্নে ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ বলেন, অভিজিত সাধু বলছে এটা তার জায়গা। প্রকৃত পক্ষে ম্যাপ ও দাগ খতিয়ান না দেখে বা পরিমাপ না করে কি করে বুঝলেন এটা কার জায়গা? এমন প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যান ফাঁড়ি ইনচার্জ। ভূমিদর্ষু অভিজিত ও ফাঁড়ি ইনচার্জ’র রোষানল থেকে বাঁচতে দ্রুত প্রশাসনরে উর্দ্ধতন মহলে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন দরিদ্র ভূক্তভোগী সাংবাদিক পরিবার। ঘটনার ভিডিও ফুঁটেজ আছে।