সোমবার ● ৩০ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » ভুমি জবর দখলকারী অভিজিত সাধু ও কপিলমুনি ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ এর হাত থেকে বাঁচতে অধিকারী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
ভুমি জবর দখলকারী অভিজিত সাধু ও কপিলমুনি ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ এর হাত থেকে বাঁচতে অধিকারী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
পা পাইকগাছার কপিলমুনির অভিজিত সাধু ও কপিলমুনি ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশের বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের অভিযোগে কৃষ্ণপদ অধিকারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ৩০ নভেম্বর সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব পাইকগাছার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তবে কৃষ্ণপদ অধিকারী বলেন, আমরা অসহায় দরিদ্র পরিবার। গত ২৫ নভেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে কপিলমুনি ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ এর উপস্থিতে ভূমিদস্যু অভিজিত সাধু দেশীয় অস্ত্রে সর্জিত হয়ে বহিরাগত ২০/৩০ জন ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে আমাদের মাতার প্রায় ৭০বছর আগে রেজিষ্ট্রি কবলা দলিল মূলে ক্রয়কৃত রেকর্ডীয় ভোগদখলী জায়গা জবর দখল চালায়। কাঁটাতারের ঘেরা দিয়ে, গাছপালা কেটে মূল্যবান ফলজ ও বনজ বৃক্ষ ধ্বংস করেছে। বাঁধা দিতে গেলে পুলিশ উপস্থিতিতে বাড়ির বৃদ্ধ ও মহিলাদের মারপিট করে ভূমিদস্যু অভিজিতসহ বহিরাগত ভাড়াটিয়া লোকজন। এ সময় ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ ক্রস ফায়ারে হুমকি দেয়। আমরা আতঙ্কে দিনযাপন করছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, গত ১৯৫৬সালের ২৫ ডিসেম্বর অভিজিত সাধু’র পূর্বপুরুষ কুঞ্জবিহারী সাধু নিকট থেকে ২৫৬৫নং রেজিষ্ট্রকৃত কবলা দলিল মূলে খরিদ করেন আমাদের মাতা মৃতঃ ননীবালা অধিকারী। ক্রয় পরবর্তী নামপত্তন করে সেই থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে আমরা ভোগ দখল করে আসছি। এসএ ১৯৩খতিয়ানে ৪২৫, ৪২৬/৫৯৩ দাগ ও বর্তমান বিআরএস ডিপি নং-৪১৬ এ ১০০২, ১০০৪ দাগে ০.৩৪একর সম্পত্তি রেকর্ডী মালিক আমরা। এমনকি ক্রয় পরবর্তী সরকারি কোষাগারে করখাজনা প্রদান করে আসছি এবং বাংলা ১৪২৭ সালও পরিশোধ করেছি। এসএ ১৯৩ খতিয়ানে ৪২৬/৫৯৩ দাগ ও বিআরএস ডিপি নং ৪১৬ এ ১০০২ দাগ প্রায় ০.২২ একর জায়গা জবর দখল করতে পায়তারা চালাছে ভূমিদস্যুরা। ভূমিদস্যুর হাত থেকে বাঁচতে আর দখল ও ভয়ভৃতির আশঙ্কায় পাইকগাছায় থানায় একটি সাধারন ডায়রি করি, নং-৮৮২, তারিখ ১৯/১১/২০। এছাড়া আমাদের নিরাপত্তা ও সম্পত্তি জবর দখল রক্ষা পেতে আমরা পাইকগাছা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমআর-২৪৫/১৯ এবং একই আদালতে এমআর ৩৪/২০ মামলা করি যা চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান এর নিটক লিখিত অভিযোগও করেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের সম্পত্তিতে বসবসা করতে চাই, তার জন্য ভূমিদস্যু অভিজিত সাধু ও ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ’র হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনরে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন সংবাদ সম্মেলনে। এ বিষয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ জানান, আদালতের নোটিশ জারি করার জন্য ফাঁড়ি পুলিশ উভয়পক্ষের কাছে যায়। এ সময় তারা নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। এ সংবাদ পেয়ে আমি ফাঁড়ি থেকে ঘটনা স্থালে উপস্থিত হয়ে তাদের মধ্যে ধাক্কধাক্কি নিরশন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি।