মঙ্গলবার ● ২ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » বিবিধ » মোংলায় সিটি মেয়র খালেক বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জিয়াউর রহমান সরাসরি যুক্ত ছিলেন
মোংলায় সিটি মেয়র খালেক বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জিয়াউর রহমান সরাসরি যুক্ত ছিলেন
মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলা
বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জিয়াউর রহমান সরাসরি যুক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের যাতে বিচার না হয় সেজন্য জিয়াউর রহমান আইনও করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার জন্য যা যা করা দরকার তা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। ৩৬ হাজার গ্রেফতারকৃত রাজাকার-আলবদর-আলশাম্সকে মুক্তি দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান যাদের মধ্যে ১২ হাজারের নামে সুনির্দিষ্ট মামলা ছিলো। সঠিক মুক্তিযোদ্ধারা পক্ষে থাকবে না তাই রাজাকার-আলবদর-আলশাম্সদের নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছে বিএনপি। ২ মার্চ মঙ্গলবার সকালে মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কপোর্রেশনের মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক একথা বলেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মোঃ তারিকুল ইসলাম। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস আলী ইজারদার, জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সহ-সভাপতি সাবেক রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আব্দুর রউফ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সুনীল কুমার বিশ্বাস, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম হোসেন হাওলাদার, পীযুষ কান্তি মজুমদার ও ৯টি ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ। কর্মী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান সেখ আব্দুস সালাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র রায়, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইস্রাফিল হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান নারজিনা বেগম নাজিন, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদ হাসান ছোটমনি, উৎপল মন্ডল, তরফদার মোত্তালিব মুক্ত, মোঃ আবু হানিফ প্রমূখ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি মেয়র আরো বলেন ইউপি নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবেনা তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে চেয়ারম্যানগণ নির্বাচিত হোক। তাতে যিনি নির্বাচিত হবেন নিজের মধ্যে গৌরব অনুভব করবেন এবং তার মধ্যে কাজ করার আগ্রহ থাকবে। কাজ করলে সুফল পাওয়া যায়। দুঃসময়ে যারা সাথে ছিলো তারাই আসল কর্মী। পরীক্ষিতদের দায়িত্বশীল পদে দিতে হবে। দেশে ৫২% নারী ভোটার। দেশে পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা। স্পীকার, সংসদ উপনেতা এবং বিরোধী দলেন নেতা নারী। বক্তৃতায় নয় শেখ হাসিনা বাস্তবে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করেছেন। ভোটারদের উদ্দ্যেশ্যে সিটি মেয়র বলেন যারা গরীবের হক মেরেছে তাদের আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নির্বাচিত করবেন না। দুর্নীতিবাজদের ভোট দিবেন না।