বুধবার ● ৩১ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় প্রবল জোয়ারের চাপে নদ-নদীতে অব্যাহত ভাঙ্গন; এলাকাবাসী আতঙ্কে
পাইকগাছায় প্রবল জোয়ারের চাপে নদ-নদীতে অব্যাহত ভাঙ্গন; এলাকাবাসী আতঙ্কে
পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ পূর্ণিমার প্রবল জোয়ারে পাইকগাছার নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় জনমনে আতঙ্ক বাড়ছে। জোয়ারের পানির চাপে পাইকগাছায় সোলাদানার পাটকেলপোতার শিবসা নদী ও কপোতাক্ষ নদের কাটিপাড়া এলাকা ব্যাপক ভাঙ্গন সৃিষ্ট হয়েছে। নদী ভাঙ্গনের ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নের পাটকেলপোতা সোনা বাড়ি এনপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে শিবসা নদীর তীরে আবারো ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহুর্তে শিবসা নদীর ওয়াপদার বাঁধ ভেঙ্গে গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। বুধবার সকালে আকস্মিক এ ভাঙ্গন দেখা দেয়। গত আম্ফানে এ এলাকায় ভয়াবহ ভাঙ্গনের কারণে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। সরকারি অর্থায়ন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিকল্প বাঁধ দেয়া হয়। পাইকগাছার কাটিপাড়া নামক স্থানে কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে লাখ লাখ টাকার ক্ষয়- ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রবল জোয়ারে নদের তীরবর্তী এলাকায় মৎস্য, চিংড়ী ঘের, পানের বরজ, ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত পানিতে ভেসে ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাড়ী ঘর ও রাস্তা ঘাট। স্থানীয় চিংড়ী ঘের মালিক রমজান আলী জানান তার ঘের তলিয়ে যেয়ে ৫/৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখানে ১২টি চিংড়ী ঘের। জমির পরিমান প্রায় ৪ শ বিঘা জমি। চিংড়ী মৌসমী শুরু হয়েছে। আগামী অমাবশ্যতে সকলেই মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার আগেই এ অবস্থার সৃষ্টি। স্থানীয়রা জানান কপোতাক্ষ নদের উপর ব্রীজ নির্মানের কাজ চলছে। ২/৩ মাস আগে ব্রীজের জন্য বিশাল এলাকা খনন করে রাখেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এক পাশে পুকুর ও অন্য পাশে বালি দিয়ে বাঁধ দেয়া হয়। যাকে বলে বালির বাধ। এতটাই নাজুক যা জোয়ারের পানির তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। পানের বরজ, বোরো ধান ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। বাড়ীতে জোয়ারের পানি উঠে প্লাবিত। চেয়ারম্যান আঃ মজিদ গোলদার জানান, ব্রীজের কাজ ধীর গতিতে হওয়ায় ও ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে এত ক্ষয়ক্ষতি হলো। ক্ষতিগ্রস্থরা প্রতিকার পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস.ও ফরিদ উদ্দীন জানান, হঠাৎ করে পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারে প্রায় ২ ফুট পানি নদীতে বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।