শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
রবিবার ● ১৬ মে ২০২১
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » ঈদে পাইকগাছায় ব্রিজ ও নদীপাড় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » ঈদে পাইকগাছায় ব্রিজ ও নদীপাড় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
৫১৯ বার পঠিত
রবিবার ● ১৬ মে ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঈদে পাইকগাছায় ব্রিজ ও নদীপাড় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

 এস ডব্লিউ নিউজ:     করোনা ভাইরাসের আতঙ্কও  ঘরে রাখতে পারেনি সৌন্দর্য ও ভ্রমণ পিপাসু দর্শনার্থীদের।ঈদের দিন ও পরের দিনে ওই স্পটে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।পাইকগাছা বিনোদনের কোন স্পর্ট না থাকায় ব্রীজগুলোই  বিনোদনের কেন্দ্রোবিন্দু হয়ে দাড়িয়েছে।রাড়ুলী স্যার পিসি রায়ের বসতভিটা ও  উপজেলা সদরে মধুমিতা পার্ক নামে একটি পার্ক থাকলেও সেখানে কোন বিনোদনের পরিবেশ  না থাকায় কেউ যায় না। এ কারণে পাইকগাছাবাসীর অনেকেই মধুমিতা পার্কের নাম ভুলতে বসেছে।--- নদীবেষ্টিত পাইকগাছা উপজেলা সদর পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নগুলো ৩টি ব্রীজ দ্বারা যোগাযোগ মাধ্যম তৈরী হয়েছে। পূর্বপাশে শিবসা ব্রীজ, দক্ষিণ পাশে শিববাটী ব্রীজ ও পশ্চিম দিকে কপোতাক্ষ নদের উপর বোয়ালিয়া ব্রীজ   অবস্থিত। যে কোন উৎসবে এই ব্রীজ ৩টিতে দর্শনার্থিদের বিনোদনের কেন্দ্র হিসাবে পরিণত হয়। পাইকগাছা কপোতাক্ষ নদের উপর বোয়ালিয়া ব্রীজ। ব্রীজ সংলগ্ন বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে বিনোদনের জন্য ছোট একটি পার্কের মত জায়গা রয়েছে। অনেকেই সেখানে উৎসবে পিকনিক সহ ছোট অনুষ্ঠান করে থাকে। ব্রীজের নীচে কপোতাক্ষ নদে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে কেউ কেউ নৌকা ভ্রমনে মেতে ওঠে। এবারের ঈদে বোয়ালিয়া ফার্ম ও বোয়ালিয়া ব্রীজে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় ছিল।

ঈদের দিন ও পরদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত   উপজেলা ও পৌরশহরের বিভিন্ন স্থান থেকে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নানা বয়সের   শত শত  নারী-পুরুষ এখানে ঘুরতে আসেন। ঘুরতে আসা অধিকাংশ ভ্রমণ পিপাসু দর্শনার্থীদের সামাজিক দূরত্ব স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।

দর্শনার্থী  মিমি আক্তার জানান, মহামারি করোনার কারণে ঘরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছি।পাইকগাছায় বিনোদনের জন্য কোন পার্ক না থাকায় বোয়ালিয়া ব্রীজ ও ফার্ম এলাকায় ঈদে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি । উন্মুক্ত পরিবেশে খুব ভালো লাগছে।

ব্রীজে দর্শনার্থিদের ঢল নামায় ব্রীজের উপর ভ্রাম্যমান ছোট ছোট দোকান বসতে দেখা যায়। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী, চটপটি ও ফুসকাসহ নানা পণ্যের দোকান বসেছিল। প্রতিটি দোকানে খাদ্যসামগ্রী কিনতে দর্শনার্থীদের ভিড়  লক্ষ্য করা গেছে। তবে বেশি ভির ছিলো ফুসকা ও চটপটির দোকানগুলোতে।---

চাকুরিজীবি, শিক্ষিকা, গৃহবধূ, শিক্ষার্থীসহ ব্রীজ ও  নদীর পাড়ে ঘুরতে আসা একাধিক দর্শনার্থীরা জানায়, মহামারি করোনার ভয়ে এতদিন বাসা থেকে কেহ তেমন একটা বের হয়নি। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অনেকেই পরিবার ও বাচ্চাদের নিয়ে এখানে একটু ঘুরতে আসছে। তবে এখানে আগত দর্শনার্থীদের অধিকাংশ সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। এতে করোনা সংক্রমণের আশস্কা রয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ব্রীজগুলোতে পুলিশি টহল ব্যবস্থা ছিল।





আর্কাইভ