মঙ্গলবার ● ২৫ মে ২০২১
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছার ওয়াপদার বাঁধে ভাঙ্গে যাওয়ায় জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে
পাইকগাছার ওয়াপদার বাঁধে ভাঙ্গে যাওয়ায় জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পাইকগাছায় গড়ইখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ওয়াপদার বাঁধে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বাঁধ ভেঙ্গে গেলে ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন লাখ লাখ মানুষ।
উপজেলার সর্বশেষ ১০ নং গড়ইখালী ইউনিয়নের একপাশে সুন্দরবন ও অন্যপাশে সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত এলাকা। প্রতিটা প্রাকৃতিক দুর্যোগে লন্ডভন্ড হয়ে আসছে এ এলাক। গত কয়েক বছর ধরে ইউনিয়নে কুমখালী গ্রামের ফকির বাড়ির সামন, ১০/১২ পোল্ডারের শান্তা স্লুইস গেটের সামনে গাংরখি নদীর গেটের দু-পাশ ভাংগনের কারনে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বারবার ভাংগনরোধে কতৃপক্ষকে অবহিত করলে কোন কর্ণপাত করেনি বলে ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস জানান। তিনি আরও বলেন, অবস্থা খুবই ভয়াবহ আকার ধারন করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি আপাততঃ জরুরি ভাবে সৃজন কর্মসুচীর লোক দিয়ে বাঁধ রক্ষা করতে বলেন। তার নির্দেশ মতে কাজ করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন বলেন উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলে কাজ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়ার সাথে সাথে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান সাহেবকে সাথে নিয়ে প্রাথমিক ভাবে ব্যাবস্থা নিয়েছি। স্থায়ী ভাবে সমাধান করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উপজেলার নদীর তীরবর্তী বেঁড়ি বাঁধের বাহিরে ও বাঁধের কাছাকাছি বাসিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ঘুর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বৃস্টি ও থেমে থেমে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। উপকূলের মানুষের মধ্যে জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাইকগাছায় ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রস্তুুত ১০৮ টি আশ্রায়ন কেন্দ্র কাম সাইক্লোন শেল্টার। সে সঙ্গে প্রস্তুুত রয়েছে মেডকেল টিম। এছাড়াও রয়েছে শুকনা খাবার চাল, ডাল, গো-খাদ্য। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঘূর্ণঝড় ইয়াস মোকাবিলায় উপজেলা ত্রান ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা (পিআইও) ইমরুল কায়েস জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১০৮টি আশ্রায় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে সাইক্লোন শেল্টার, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা রয়েছে। এ বাদেও আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রেখেছি। এ সমস্ত সাইক্লোন শেল্টারের ধারন ক্ষমতা রয়েছে ৫৮ হাজার মানুষ। প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুত কমিটির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে ২ হাজার ৫ শত কর্মী।