বৃহস্পতিবার ● ২৪ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় গলায় রঁশি দেওয়া অবস্থায় পুকুরে মিললো শিশু লাশ ; থানা হেফাজতে- ৪
পাইকগাছায় গলায় রঁশি দেওয়া অবস্থায় পুকুরে মিললো শিশু লাশ ; থানা হেফাজতে- ৪
পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছায় গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় শ্রাবন নামে ৩য় শ্রেনীর এক শিশু’র লাশ মিললো পুকুরে।ঘটনাটি ঘটেছে নিহত শ্রাবনের নানার বাড়ী গড়ইখালীতে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এএসপি ( ডি সার্কেল) মোঃ হুমায়ুন কবির ওসি মোঃ এজাজ শফী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ নিহত শিশুর মা, সৎ পিতা,মামা-মামী ও নানাকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছেন।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানা গেছে ,গড়ইখালী বাজারের বাসিন্দা ও স্থানীয় পোষ্ট অফিসের ডাক পিয়ন সাঈদুর গাইনের মেয়ে রত্মার সাথে বিগত ২০১১ সালে ঝিনাইদহের মাসুদ রানার সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের পর এ দম্পতির এক শিশু জন্ম গ্রহন করে, নাম শ্রাবন । ৩য় শ্রেনীর ছাত্র শ্রাবন নানার বাড়ীতে মায়ের সাথে থাকতো । জানাগেছে, বিগত সাড়ে ৩ বছর পুর্বে মাসুদের সাথে রত্মার ছাড়াছাড়ি হবার পর গড়ইখালীর মৃতঃ খানজাহান সরদারের ছেলে আমিনের সাথে রত্মা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এটা ছিল রত্মার তৃতীয় বিবাহ। শ্রাবনের মা রত্মা জানান, বুধবার দুপুরে পাশের বাড়ীতে আমার ছেলে সহ স্বপরিবারে দাওয়াত খেতে যাই। এর পর বৃষ্টি থামার পর পরই আছরের আজানের পুর্ব মুহুর্তে শ্রাবন বাজরে খেলতে যায়। এ সময় রত্মা ও তাঁর বাবা সহ বর্তমান স্বামী আামিন গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদস্থ নির্মাণাধীন নতূন বাড়ীর কাজ দেখভালে যান। রত্মার মা যায় হাঁস খুঁজতে। সময় গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসলেও শ্রাবনের সন্ধান না পেয়ে স্থানীয় মসজিদের হুজুর মাইকে হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। খোহাখঁজি চলে চারিদিকে। এদিকে বারান্দায় ১টি সান্ডেল বসত ঘরে আর ১টি শ্রাবনের নতূন স্যন্ডেল দেখে নানীর সন্দেহ বেড়ে যায়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে বাড়ী সংলগ্ন পানিভরা পুকুর থেকে এ শিশুর গলাঁয় কালো ফিতার ফাঁস দেওয়া মৃতঃ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঐ রাতেই থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা ধারনা করছেন ঘটনার সময় বিদুৎ না থাকার সুযোগ নিয়ে দুর্বত্তরা শ্রাবনকে মেরে ফেলে পুকুরে লাশ ফেলে দিতে পারে! শিশু শ্রাবনের মৃত্যুর পিছনে কি কারন থাকতে পারে তা অনুসন্ধানের চেষ্টা করছেন পুলিশ। মায়ের একাধিক বিয়ের কারনে শত্রুতা, শ্রাবনের প্রতি নানা-নানীর অতি যত্ন, রত্মার নামে নতূন বাড়ী নির্মান সহ কয়েকটি সুত্র ধরে পুলিশী তদন্ত শুরু করেছে। মৃত্যু প্রসঙ্গে ওসি মোঃ এজাজ শফী ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা বলে জানান,ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই বোঝা যাবে এটা কোন ধরনের মৃত্যু। এ এসপি( ডি সার্কেল) মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, ইতোমধ্যে নিহত শিশুর মামা-মামী বাদশা গাইন দম্পতি, সৎ পিতা আমিন সরদার ও মা রত্মাকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য থানা হেফজতে নেওয়া হয়েছে।