শনিবার ● ৩ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » মিডিয়া » প্রবীণ সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন আহমেদ আর নেই
প্রবীণ সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন আহমেদ আর নেই
এস ডব্লিউ নিউজ: খুলনার সাংবাদিকদের গুরু বলে খ্যাত খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন আহমেদ বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ৩ জুলাই রাত তিনটায় ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিকের বড় জামে মসজিদে জোহরবাদ জানাজা শেষে বনানীতে তাঁকে দাফন করা হবে।
শাহাবুদ্দিন আহমদ ১৯৩৯ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার মানিকগঞ্জে তার পৈত্রিক ভিটে। বাবার চাকরির সুবাধে খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে লেখাপড়া করেন। সর্বশেষ শিক্ষা জীবন দৌলতপুর সরকারী বিএল কলেজ। তিনি ১৯৬২ সালে শরীফ কমিশন রিপোর্ট বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। শিক্ষা জীবন শেষে তৎকালীন রূপসা থানার বেলফুলিয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফাতিমা উচ্চ বিদ্যালয় এবং চালনা পোর্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষাকতা করেন। ১৯৬৫ সালে খুলনার স্থানীয় ওয়েভ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত হন। ৪৪ বছরের পেশাগত জীবনে সাপ্তাহিক হলিডে, বাংলাদেশ টাইমস, দি ডেইলী টেলিগ্রাফ, ডেইলী ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেস ও দি ডেইলী ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। ইনডিপেনডেন্ট-এ পত্রিকায় ১৩ বছর দায়িত্ব পালন শেষে বার্ধক্যজনিত কারণে ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকতা থেকে অবসর নেন। ১৯৭০-৭১ সালে করাচীর প্রভাবশালী দৈনিক ডন পত্রিকার খুলনাস্থ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ১৯৮০, ১৯৮২ ও ১৯৮৪ সালে অবিভক্ত খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি. ১৯৮৫-৮৬, ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৫-৯৬, ১৯৯৯-২০০০ সালে খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বাকশালে যোগাদান প্রশ্নে স্থানীয় সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তের সাথে একমত হতে পারেনি। তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। একমাত্র তিনিই বাকশালে যোগদান করেননি। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের আপাদকালীন সাহায্যের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের ভিত্তিতে নিখুঁত সংবাদ পরিবেশনে তিনি খুলনার সাংবাদিক অঙ্গনে আজও উদাহরণ। বানান ও বাক্য গঠনে তিনি যত্নবান ছিলেন। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান এবং বিতর্কের উর্ধ্বে থাকায় ২০০৮ সালে সাদা মনের মানুষ হিসেবে জেলা প্রশাসন থেকে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হন। চিরকুমার এই সাংবাদিক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ঢাকার বসুন্ধরায় ভাগ্নের বাসায় অবসর জীবন যাপন করেন।