বুধবার ● ৭ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » বিবিধ » অবসান হলো কয়রার মহারাজপুরের শাকবাড়ীয়া খালের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা
অবসান হলো কয়রার মহারাজপুরের শাকবাড়ীয়া খালের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা
রামপ্রসাদ সরদার, কয়রা,খুলনাঃ
কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ৭ গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা অবসান হতে চলেছে।
উপজেলার মহারাজপুরের শাকবাড়ীয়া খালে পাইপ বসিয়ে দ্রুত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করেন মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু’র নেতৃত্বে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় নেতাকর্মীর মাধ্যমে জানার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে এ ধরনের ব্যবস্থা করেছেন। সোমবার সকাল ১১ টায় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শাকবাড়ীয়া খালের বড় ব্রীজ নামক স্থানে বিশাল আকৃতির দুটি পাইপ বসানো হয়েছে। এসময় ৭ গ্রামের শত শত কৃষক ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে পাইপ বসানোর কাজে অংশ নিতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ইউনিয়নের মহারাজপুর, মঠবাড়ী, কালনা, শ্রীরামপুর, অন্তাবুনিয়া, দেয়াড়া ও খড়িয়া গ্রামের মানুষ অতি বৃষ্টি হলেই পানিবন্দী হয়ে পড়ে। কারণ ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলা পরবর্তী শাকবাড়ীয়া খালের বড় ব্রীজটি ধ্বসে পড়ায় এলাকাবাসী নিজ নিজ এলাকা মুক্ত রাখতে সেখানে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে। ফলে দীর্ঘদিন উল্লেখিত গ্রামের মানুষ প্রতি বর্ষা মৌসুমে পানিবন্দী হওয়ায় ধান ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
জানা গেছে, বিষয়টি স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ বিগত কয়েক বছর যাবৎ দাবী করে আসলেও দ্রুত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা হয়নি। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবীর মুখে ইউপি চেয়ারম্যান মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে আলোচনা করে আর্থিক বরাদ্দ দিয়ে সোমবার এ কাজটি করেছেন। এ সম্পার্কে ইউপি চেয়ারম্যান লাভলু জানায়, আইলায় মহারাজপুরের শাকবাড়ীয়া খালের উপর বড় ব্রীজ ভেঙ্গে গেলে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁধ দেওয়া হলে বিকল্প পথে পানি নিস্কাশন হতে দীর্ঘ সময় লাগত। তাই ঐ রাস্তা দিয়ে ৪ টি ইউনিয়নের মানুষ ও কয়েক হাজার গাড়ী প্রতিদিন চলাচল করায় বাঁধ কাটা সম্ভব হয়নি এছাড়া উক্ত স্থানে আবারও বড় ব্রীজ নির্মাণের জন্য টেণ্ডার হলেও ঠিকাদার কাজ না করায় এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে সাংসদের নির্দেশে অবশেষে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় পাইপ বসানো হলে কয়েকটি গ্রামের মানুষ দ্রুত পানি মুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।