রবিবার ● ১৮ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » সারাদেশ » কেশবপুরে ঈদের কেনাকাটায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি
কেশবপুরে ঈদের কেনাকাটায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি
এম. আব্দুল করিম,কেশবপুর থেকে:
যশোরের কেশবপুরে শেষ মুহুর্তে ভ্যাপসা আর করোনার লাগামহীন সংক্রমনের ঝুকি উপেক্ষা করে বিপুনী বিতান গুলিতে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাজারের অবস্থা দেখলে মনে হয় না যে করোনা বলে কিছু আছে। কেউই মানছে না সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক পরার বিধি বিধান। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রশাসনিক তৎপরতাও তেমন একটা চোখে পড়েনি। শহর জুড়ে যে যার মত চলছে বাঁধভাঙ্গা ¯্রােতের মত।
কোরবানীর পশু কেনা-কাটায় ক্রেতাদের আনা-গোনা তেমন চোখে পড়ার মত নয়। যেটুকু দেখা যাচ্ছে তাও নেই কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই, যার আছে সেটাও থুতনির নীচে। কারো কারো গলায় ঝুলে থাকতে দেখা গেছে। বেচা-বিক্রির বিয়য়ে বিক্রেতাদের ধারণা গ্রামগঞ্জের মানুষ শেষ মুহুর্তে কেনা-কাটা করে থাকে। যে কারণে তারা হতাশ নয়। যারা কোরবানীর পশু কিনতে এসেছে, তাদেরও রয়েছে আনেক অভিযোগ। ভারতীয় গরু না আসার অজুহাতে দেশী গরুর আকাশ ছোঁয়া দাম হাকাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। গরুর দাম বেশী থাকার কারণে অনেকে ছাগল কোরবানী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে কেশবপুর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় সকল প্রকার গার্মেন্টস, শাড়ী বিতান, সু-ষ্টোর, ফ্যাশান’শো, কসমেটিকস, ও জুয়েলারী দোকানে ক্রেতাদের পদচারনণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত বাজারের দোকান গুলিতে চলে বিকিকিনি। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন ধরণের ক্রেতাদের সমাগম বেশী-বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে সব দোকান গুলোতে। বড় দোকান গুলোতে মধ্যবিত্ত ও অধিক আয়ের লোকদের ভীড়ে মুখরিত মধ্যরাত পর্যন্ত । নিন্ম আয়ের লোকদের আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে নিজের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে জিনিস কেনা-কাটা করতে ফুটপাতের দোকানসহ মাঝারী দোকান গুলিতে ভীড় জমাচ্ছে। পছন্দসই জিনিস কিনতে ক্রেতারা সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত দোকান থেকে দোকানে ছুটে বেড়াচ্ছে।
এদিকে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, ঈদের কেনা কাটায় ক্রেতাদের নিরাপত্তায় শহর জুড়ে রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদরী । পুলিশের ভ্রাম্যমান টিম শহরের প্রতিটি ক্রাইম পয়েন্টের উপর বিশেষ টহল জোরদার করেছে।