মঙ্গলবার ● ৩ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের নজরদারীর পরও থামানো যাচ্ছে না বাল্য বিয়ে
কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের নজরদারীর পরও থামানো যাচ্ছে না বাল্য বিয়ে
এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর থেকে :
বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কেশবপুরে বেড়েছে বাল্য বিয়ে। আর এই বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে দরিদ্র ও অসচ্ছল পরিবারের ছাত্রীরা। উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারী, জেল জরিমারনা করে ও মুচলেকা নেওয়ার পরও কেশবপুরে কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না বাল্য বিয়ে। সম্প্রতি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কেশবপুরে এক স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বরণডালী গ্রামের এক ব্যক্তি তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের (১৫) বাল্য বিয়ের আয়োজন করে। বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরুফা সুলতানা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে হাজির হন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মেয়ের বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৩ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলার হাড়িয়াঘোপ এলাকার এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করে তার বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নেন। একই সাথে বাল্যবিয়ে করতে আসার দায়ে বরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৭২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫২টি মাদ্রাসা ও ১১টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ২৮৮ জন, মাদ্রাসায় ৭ হাজার ৫৮৭ জন ও কলেজে ৪ হাজার ৭৪৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের মতো এ উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে বাল্য বিয়ের প্রবণতা কমে যাবে।