বুধবার ● ১৮ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » উপহারের ৩১ এ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করল ভারত
উপহারের ৩১ এ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করল ভারত
এস ডব্লিউ নিউজ: বাংলাদেশের জন্য উপহার হিসাবে ৩১টি লাইফ সাপোর্ট এ্যাম্বুলেন্স ও প্রায় ২০ টন চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করেছে ভারত সরকার। গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপহার তুলে দেন ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
গত মার্চে বাংলাদেশ সফরে সরকারকে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট এ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ্যাম্বুলেন্সের চাবিও তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তার মধ্যে প্রথম চালানে ৩১টি এ্যাম্বুলেন্স এসেছে। প্রতিশ্র“তির বাকি এ্যাম্বুলেন্সগুলো ‘অল্প সময়ের মধ্যে’ পর্যায়ক্রমে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় হাই কমিশন।
অনুষ্ঠানে হস্তান্তর করা চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে অক্সিজেন নেইজাল ক্যানুলা, অক্সিজেন ফেস মাস্ক, অক্সিজেন ফ্লো মিটার, নন-রিব্রিদার মাস্ক, পালস অক্সিমিটার ডিভাইস, হাই ফ্লো নেইজাল ক্যানুলা, ১০ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন তরল মেডিকেল অক্সিজেন সিলিন্ডার, ৪৫ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এলএমও সিলিন্ডার, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর এবং ইনফ্রা থার্মোমিটার রয়েছে।
এ্যাম্বুলেন্সের চাবি গ্রহণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল। এখন করোনাভাইরাসের মধ্যে অক্সিজেনসহ অন্যান্য সংকটে তারা পাশে দাঁড়াচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ভারত থেকে অক্সিজেন আসছে।আমি ভারতের সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, আমাদের প্রয়োজনের সময় পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
ভারত থেকে কোভিড-১৯ টিকাও পুনরায় আসতে শুরু করবে বলে আশা রেখে মোমেন বলেন, “ভারত আমাদেরকে টিকাও দিয়েছিল। আশা করি, তার সরবরাহ শিগগির চালু হবে। কারণ তারা ইতোমধ্যে কার্যকরভাবে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে গত ফেব্র“য়ারিতে বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়েছিল। সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনতে চুক্তি করেছিল সরকার। কিন্তু ৭০ লাখ ডোজ আসার পর ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে আর চালান আসেনি।
টিকা নিয়ে দোরাইস্বামী বলেন, ভারতে সঙ্কট মিটে গেলে আমরা পাঠাব। আমরা বলছি, যখনই সম্ভব হবে আমরা টিকা পাঠাব। কারণ, বাংলাদেশ আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায় আছে। বাংলাদেশ টিকা কেনার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। কেবল কোভিড নয়, স্বাস্থ্যসেবার অন্যান্য খাতেও দু’দেশের সহযোগিতা জোরদারে জোর দেন ভারতের রাষ্ট্রদূত।