বুধবার ● ৬ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » মিডিয়া » অনলাইন খোলার আগেই নিবন্ধন নিতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
অনলাইন খোলার আগেই নিবন্ধন নিতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
এস ডব্লিউ নিউজ: শৃঙ্খলা ফেরাতে আগামী বছর থেকে নতুন করে কোনো অনলাইন সংবাদমাধ্যম খুলতে হলে আত্মপ্রকাশের আগেই নিবন্ধন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার ৬অক্টোবর সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন গণমাধ্যমে কোনো শৃঙ্খলা ছিল না। একটি ল্যাপটপ দিয়ে একেকজন একেকটি অনলাইন খুলে বসেন। আমরা সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করেছি। অনেকগুলোর রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে। অনেকগুলো বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, কিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।‘ডিক্লারেশন দিয়ে যেমন পত্রিকা প্রকাশ করতে হয়, তেমনি অনলাইনের ক্ষেত্রেও রেজিস্ট্রেমন ছাড়া অনলাইন খুলতে পারবেন না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া মোটামুটি একটি পর্যায়ে নিয়ে যাব। আমরা আলোচনা করেছি এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অংশীজনের সঙ্গে। অনলাইন কেউ আত্মপ্রকাশ করার আগেই নিবন্ধন নিতে হবে তারপর আত্মপ্রকাশ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন আপাতত এটি রেখেছি এজন্য যে, অনেকগুলো অনলাইন চালু আছে। যেহেতু আমরা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছি বেশ পরে, সেজন্য এটা আমরা রেখেছি।’
একই সঙ্গে সংবাদ প্রচার করা আইপি টিভিগুলোও বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আইপি টিভি কোনো সংবাদ প্রচার করতে পারবে না। আমরা এটি সম্প্রচার নীতিমালা যেটি মন্ত্রীসভায় পাশ হয়েছে সেটি অনুযায়ী এটা তারা পারবে না। আমরা খুব দ্রুত যেগুলো সংবাদ প্রচার করছে সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করব।
‘আইপি টিভি বাস্তবতা। এটাকে বন্ধ করা সমীচীন নয়। তবে ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি হতে পারে না। এ জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আর যেগুলো সত্যিকারভাবেই আইপি টিভি হিসেবে কাজ করতে চায় বা করে তাদের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘কিছু আইপি টিভি আছে যেগুলো ব্যাক্তি স্বার্থে বা হীনস্বার্থে পরিচালিত হয় ও নানা অপকর্মে যুক্ত হয়। আমরা যেন বুঝতে পারি কোনটি মূলধারার টিভি ও আইপি টিভি।’
‘সেখানেও একটা শৃঙ্খলা আনতে হবে, একই ধরনের বুম যাতে ব্যবহার না করতে পারে বা সেখানে যেন লেখা থাকে অন্তত যে এটা আইপি টিভি।’
এ সময় পত্রিকার ভৌতিক প্রচার সংখ্যা নিয়েও কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিএফপিতে পত্রপত্রিকার যে প্রচার সংখ্যা তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। বলা হচ্ছে প্রচার সংখ্যা ১ লাখ কিন্তু ছাপায় ৫ হাজার। এরকম প্রচুর আছে। আমরা সেখানেও একটি শৃঙ্খলা আনার উদ্যোগ নিয়েছি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু পত্রিকা যেগুলো হঠাৎ হঠাৎ বের হয়, যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন বের হয়। এসব পত্রিকায় যিনি সম্পাদক তিনিই রিপোর্টার, তিনিই প্রকাশক। তার একটা ব্রিফকেস আছে, পত্রিকাও ব্রিফকেস পত্রিকা। ব্রিফকেসে করে পত্রিকা অফিসে অফিসে বিলি করে বেড়ান।
‘এরা আসলে পত্রিকা নয়। আমরা সেগুলোও বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে ২১০টির ব্যাপারে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। আরও দুইশর বেশি আছে। সেগুলো চিহ্নিত হয়েছে। ধীরে ধীরে সব বন্ধ হয়ে যাবে।’