বৃহস্পতিবার ● ২৭ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে চাল-কুমড়ার বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত গৃহ বধুরা
কেশবপুরে চাল-কুমড়ার বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত গৃহ বধুরা
এম আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের কেশবপুরে কুমড়ার বড়ি তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করছে প্রতিটি ঘরের গৃহ বধুরা। কুয়াশার চাদরে ঢাকা শীতের সকালে গাঁয়ের মাঠে শাড়ী বা নতুন কাপড়ের গায়ে চাল-কুমড়ার বড়ি দেওয়া উৎসবে মেতেছে প্রতিটি ঘরের গৃহ বধুরা। গৃহ-বধুর সাথে সাথে গাঁয়ে মেয়েরাও নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে কুমড়া ও ঠিকরা কলাইয়ের বড়ি দিতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন । সেই প্রাচীনকাল থেকে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে কুমড়ার বড়ি খুবই জনপ্রিয়। সরেজমিনে রোববার সকালে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাাম ঘুরে দেখা গেছে, এই শীতে কুমড়ার বড়ি দিতে চালকুমড়া আর (ঠিকরা) মাসকালাইয়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। ভালুকঘর, রামচন্দ্রপুর, ব্যাসডাঙ্গা, সুজাপুর, পাজিঁয়া, কাটাখালি, দেউলি, শ্রীফলা, ভান্ডারখোলা, হাসানপুর, বগা, সাগরদাঁড়ি, ফতেপুর, শিকারপুর, শ্রীরামপুর, জাহানপুর, সাতবাড়িয়া, ত্রিমোহিনী, বালিয়াডাঙ্গাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গৃহবধুরা তাদের পাশাপাশি স্কুল পড়–য়া মেয়েরা চালকুমড়ার বড়ি তৈরি করে ব্যস্ত সময় পার করছে। ভালুকঘরা গ্রামের গৃহবধু আমেনা বেগম জানান, প্রতি বছরে শীত আসলে চাল-কুমড়া আর মাসকলাই মিশিয়ে এই বড়ি তৈরি করা হয়। ফতেপুর গ্রামে আছিয়া বেগম বলেন, চাল-কুমড়ার বড়ি খেতে খুবই মজা। বিভিন্ন প্রকার তরকারির সাথে রান্না করে খেতে খুব মজা। জাহানপুর গ্রামের আলেয়া বেগম বলেন, রাত ভোর মাসকলাই ভিজিয়ে রেখে তার পরে দিন সকালে শীতকে উপেক্ষা করে মাসকলাই বেটে পেস্ট করে এর পর চাল-কুমড়া ছিদ্র করা বাসনের কাঁকই দিয়ে কুরে মলমের মত তৈরি করে দুটিকে একসাথে মিশিয়ে শুরু হয় বড়ি তৈরীর কাজ।