বৃহস্পতিবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » উপকূল » পাইকগাছা-কয়রায় সুপেয়পানির সংকট নিরসনে ৩৪.৭৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
পাইকগাছা-কয়রায় সুপেয়পানির সংকট নিরসনে ৩৪.৭৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
পাইকগাছা প্রতিণিধি; বঙ্গোপসাগরের উপকূলে খুলনা জেলার পাইকগাছা-কয়রা উপজেলায় সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘ দিনের। দীর্ঘদিনের এ সংকট নিরসনে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা নানা প্রকল্প নিলেও লবণাক্ততার কাছে হার মেনেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে খুলনার পাইকগাছা-কয়রা উপজেলার নদ-নদীর সংযোগ রয়েছে। ফলে সাগরের লোনাপানি সরাসরি দু উপজেলাতে পৌঁছে যাচ্ছে। এতে কোনো প্রকল্পই সফলতার মুখ দেখেনি এখনো। অবশেষে সকল প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় খুলনার উপকূলীয় পাইকগাছা-কয়রা উপজেলায় সুপেয় পানির সংকট নিরসনে ৩৪.৭৯ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে।মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিটির সভায় খুলনার উপকূলীয় পাইকগাছা-কয়রায় সুপেয় পানির সংকট নিরসনে ৩৪.৭৯ কোটি টাকার নতুন এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদিত এ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রেইন ওয়াটার হারভেষ্ট (ট্যাংকি), গভীর নলকূপ, ওয়াস ব্লক সহ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা। এদিকে উপকূলীয় পাইকগাছা-কয়রা উপজেলাবাসির দীর্ঘদিনের সুপেয় পানির সংকট নিরসনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আনন্দে উচ্ছ্বসিত তারা।একইসাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর ভাতৃষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি,মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নান এমপি, এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি এবং বিশেষ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপকূল বন্ধু খ্যাত আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু এমপিকে পাইকগাছা-কয়রা উপজেলাবাসি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জনসাধারণের ভাষ্য মতে, অসহায় মানুষের কান্নার আওয়াজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছালে, মমতাময়ী নেত্রী কখনোই কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। সিডর, আইলা, আমফান, ইয়াস, ফনি, বুলবুলের আঘাতে বিধ্বস্ত পাইকগাছা-কয়রার মানুষের কান্নায় ব্যথিত স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি’র নিরলস পরিশ্রমের অবিস্মরণীয় অর্জন সুপেয় পানির সংকট নিরসনে নতুন এ প্রকল্পের বরাদ্দ। এ ব্যাপারে গতকাল তথ্যানুসন্ধানে পাইকগাছা-কয়রার আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে,পাইকগাছা-কয়রার গণমানুষের আস্থাভাজন আলহাজ্ব মো. আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি পাইকগাছা-কয়রার বন্যা কবলিত লোনা পানির মানুষের দুর্দশার চিত্র বারবার জাতীয় সংসদে তুলে ধরেছেন। উপকূলের অবহেলিত জনসাধারণের লোনা পানির ছোবল থেকে বাঁচাতে ছুটে বেড়িয়েছেন মন্ত্রণালয় থেকে সচিবালয় পর্যন্তও। বিধ্বস্ত উপকূলবাসীর হা-হুতাশ, হাহাকারের আর্তনাদ খুলনা শহর সহ রাজধানী ঢাকাতে বিভিন্ন আলোচনা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, মতবিনিময় সভা আয়োজনের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে তুলে ধরেছেন। খুলনার উপকূলীয় পাইকগাছা-কয়রা উপজেলায় সুপেয় পানির সংকট নিরসনে এমপি বাবু জাতীয় পর্যায়ে জনমত গঠন করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। যার ফসল আজকের উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট নিরসনে ৩৪.৭৯ কোটি টাকার নতুন এ প্রকল্প । এ বিষয়ে উপকূলীয় উপজেলা পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো:আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, পাইকগাছা-কয়রা উপজেলায় কোনো গভীর নলকূপ কাজে আসে না, অগভীর নলকূপের পানি পান করা যায় না। ফলে এই অঞ্চলের মানুষের সুপেয় পানির কষ্ট, দশকের পর দশক ধরে, যা নিরসনের চেষ্টা করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের সুপেয় পানির চাহিদা পূরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়।সর্বশেষ মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিটির সভায় উপকূলীয় পাইকগাছা-কয়রা উপজেলায় সুপেয় পানির সংকট নিরসনে ৩৪.৭৯ কোটি টাকার নতুন এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের ফলে উপকূলীয় পাইকগাছা-কয়রা উপজেলায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। সর্বোপরি প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা,বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল এমপি,মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নান এমপি এবং এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে পাইকগাছা-কয়রা বাসীর পক্ষ্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।