বৃহস্পতিবার ● ১৯ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে সুপেয় পানির তীব্র সংকট, জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবী
দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে সুপেয় পানির তীব্র সংকট, জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবী
পরিতোষ কুমার বৈদ্য শ্যামনগর প্রতিনিধি;
বৃহস্পতিবার ১৯ মে সকাল ১০ টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাব চত্ত্বরে জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের আয়োজনে এবং বেসরকারকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে সুপেয় পানির নিশ্চয়তা ও জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
মুখার্জী রবীন্দ্র নাথ এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য তুলে ধরেন পূর্ণিমা মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার, বাগেরহাট জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্য শেখ আব্দুল হাছিব, ফোরামের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও আশার আলো উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কাকলী সরকার, ফোরামের অধিপরামর্শ সম্পাদক ও বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ইসরাত জাহান, সাধারণ সদস্য এ্যাড. লুনা সিদ্দীকি প্রমূখ।
মানববন্ধনে উত্থাপিত দাবীতে বলা হয় জলবায়ু পরিবর্তন ও দূর্যোগকে মাথায় রেখে উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির নিশ্চয়তা, স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মান ও ঝুঁকি মোকাবেলায় দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলকে রক্ষার জন্য ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ। তারা বাগেরহাটে সুপেয় পানি সরবরাহে সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয় নতুন প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করেছেন।
মানববন্ধনে আরও বলা হয় ভৌগলিক অবস্থানগত কারনে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দূর্যোগ, ভঙ্গুর অবকাঠামো, দারিদ্রতা, দীর্ঘমেয়াদী লবণাক্ততা, সংকটাপন্ন কৃষি, প্রভৃতির কারণে উপকূলীয় এলাকার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা জেলা। সুপার সাইক্লোন আম্ফান ও ইয়াসের পর এখনো জনজীবনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসেনি। বরং স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতেই উপকূল এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত কয়েক বছরে সুন্দরবন এলাকায় সুপেয় পানির সংকট বেড়েছে। সুন্দরবন উপকূলে ৬৫ % সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। শুস্ক মৌসুমে বাগেরহাটের পাঁচটি উপকূলীয় উপজেলার এলাকগুলোর পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তীব্র পানি সংকট দেখা দেয়। যার ফলে বাধ্য হয়ে লবণাক্ত পানি ও দূষিত পানি পানের ফলে এলাকার মানুষ পেটের পীড়া সহ নানাবিদ পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের শিকার হয়। বিশেষ করে শুস্ক মৌসুমে বেশি আক্রান্তের শিকার হয় শিশুরা। এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বেশি বেশি সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করেছেন তারা।