বৃহস্পতিবার ● ২৮ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াদুলসহ ৯জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াদুলসহ ৯জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, এক ইউপি সদস্য, দুই চৌকিদারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। ২৭ জুলাই বুধবার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর গ্রামের অসিত কুমার দাশ বাদী হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এজাহার দাখিল করলে বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার আদেশ দিয়েছেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়াকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। অন্য আসামীরা হলো ইউপি চেয়ারম্যানের সহোদর ভাই শেখ রেজাউল ইসলাম, হৃদয় শেখ, শরিফুল ইসলাম গাজী, ইমরান শেখ, চৌকিদার হাবিবুর রহমান গাজী, চৌকিদার আনু মোড়ল, ইউপি সদস্য মীর আনোয়ার এলাহী এবং প্রভাষ বিশ্বাস। দন্ডবিধি আইনের ১২০-খ/ ১৪৩/ ১৫০/ ১৫৮/ ৩২৩/ ৩২৯/ ৩৪৮/ ৩৮৫/ ৩৮৬/ ৫০৬ (২)/ ১১৪/ ৩৪ ধারায় মামলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী অসিত কুমার দাশ ৩ লাখ ১০ হাজার পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে ঋণগ্রহীতা একই এলাকার প্রভাষ বিশ্বাসের প্রদেয় চেক ডিজঅনার করে পাইকগাছা আদালতে সি.আর ৭২০/২০নং মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে জেলা দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। ঐ মামলার দায় থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য বিবাদী প্রভাষ বিশ্বাস গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে আতাত করে অসিত কুমার দাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নোটিশ করা হয় এবং ধার্যকৃত গত ১৯ জুলাই এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে শুনানীকালে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়াসহ অন্যান্য আসামীরা অসিত কুমার দাশ ও তার সাথে থাকা কয়েকজনকে পরিষদের গোডাউনের মধ্যে নিয়ে বেঁধে রেখে মারপিট করা হয় এবং অসিত কুমার দাশের কাছে চেক-স্ট্যাম্প দাবি করার হয়। মারপিটের একপর্যায়ে মোটরসাইকেল যোগে অসিত কুমার দাশের বাড়িতে নিয়ে জোর করে তার ঘরের আলমারী থেকে রূপালী ব্যাংকের (৫টি পাতাসহ) চেকবই এবং প্রভাষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার কাগজপত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে ফের ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। পতিমধ্যে আসামী শেখ রেজাউল ইসলাম অসিত দাশের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। তাহলে যা হয়েছে এ পর্যন্ত, আর কোন কিছু হবে না। সব মিটে যাবে মর্মে জানানো হয়, অন্যথায় বড় বিপদ হবে মর্মে অসিত দাশ, তার পিতা ও ভাইসহ সাথে থাকা সবাইকে হুমকি দেয়া হয়। ইউনিয়ন পরিষদের আসার পরে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ঐ চেকের প্রতিটি পাতায় অসিত দাশের ৩টি করে স্বাক্ষর এবং ১০০ টাকার মূল্যের ৯টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারী বিথিকা বিশ্বাসের নিকট চেকের পাতা ও স্ট্যাম্পসহ যাবতীয় কাগজপত্র রেখে দেয়া হয়।