বুধবার ● ২৬ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তাণ্ডবে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তাণ্ডবে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তাণ্ডবে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে ক্ষেতের আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একটানা বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডবে ধান মাটিতে পড়ে পানিতে ডুবে থাকায় ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বীজ উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা উৎপাদন না হওয়ার আশংখা করছে খামার কতৃপক্ষ।
ঝরে তাণ্ডবে ধানের কুশি পর্যায় ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাটিতে নুয়ে পড়া ধান পানিতে ডুবে থাকায় ধান পরিপূর্ণ পুষ্ঠ না হওয়া ও ধানের কালো কালো দাগ পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি রয়েছে। তাছাড়া কুশি ভরা ধানের ফুল ঝড়ো বাতাসে পড়ে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে চিটা হয়ে যেতে পারে। খামারে আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছিল। গত২৪ অক্টোবর সোমবার খামারের ৩৮ একর জমির ধান ক্ষেত লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। উপকূলে অবস্থিত এ খামারটিকে লবন পানিসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে ফসল ফলাতে হয়।
খামার সূত্রে জানাগেছে, চলতি আমন মৌসুমে খামারে ব্রি-ধান ৩০ জাতের ২৮ একর,ব্রি ধান ৭৮ জাতের ৬একর ও বি আর ২৩ জাতের ৪ সর্বমোট ৩৮ একর জমির ধান পানিতে পড়ে ও কুশি ঝরে ব্যপক ক্ষতির মুখে রয়েছে। এবস্থায় ঝড় হাওয়ায় ধানের পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যেতে পারে। খামারে সর্বমোট ৬২ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।
এ বিষয়ে খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ নাহিদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তাণ্ডবে ও একটানা বৃষ্টি হাওয়ায় চলতি মৌসুমে আমন ক্ষেতের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।খামারে ব্রি-ধান ৩০ জাতের ২৮ একর ও ব্রি ধান ৭৮ জাতের ৬একর জমির ধানে সবে মাত্র ফুল ফুটতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ঝড়ো হাওয়ায় ফুল ঝরে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তাছাড়া পুষ্ট না হলে ধান চিটা হবে।ধানের গুনগত মান নষ্ট হব্ এতে আশানারুপ বীজ উৎপাদন হবে না বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।ঝড়ে খামারে ধানের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তার জন্য তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, বীজ উৎপাদনে লক্ষমাত্রা পুরণ হবে কি না তা নির্ভর করছে উৎপাদিত ধান কেমন হবে এবং ধান কেটে ঝাড়াই করে পরীক্ষা করার পর জানা যাবে।