সোমবার ● ২০ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » সাহিত্য » সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ৯৭ তম মুত্যুবার্ষিকী পালিত
সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ৯৭ তম মুত্যুবার্ষিকী পালিত
পাইকগাছায় সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ৯৭তম মুত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ২০ মার্চ সোমবার সকালে নতুন বাজারস্থ কার্যালয়ে সাহিত্যিকের প্রতিকৃতিত্বে পুষ্পমাল্য অর্পন ও স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান।স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের উপদেস্টা পরিবারের সদস্য কাজী জামানউল্লাহ, সদস্য মতিউর রহমান, সপ্তদ্বীপা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাধুরী রানি সাধু, মোড়ল কওসার আলী, রোজি সিদ্দিকী, ফারজানা আক্তার ময়না, ঐশী আক্তার লিমা, শহিনুর রহমান, গৌতম ভদ্র প্রমুখ।
কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক আসামের জরিপ বিভাগে চাকরি করতে করতেন এবং পরবর্তীতে খুলনার ফৌজদারি আদালতের মোক্তার নিযুক্ত হন।
১৯০০ সালে কাজী ইমদাদুল হক কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ সম্পন্ন করেন। ১৯১৪ সালে তিনি বিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯০৪ সালে কাজী ইমদাদুল হক কলকাতা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এর দুই বছর পর ১৯০৬ সালে আসামের শিলং বিভাগে শিক্ষাবিভাগের উচ্চমান সহকারী হিসেবে যোগ দেন। ১৯০৭ সালে তিনি ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক হন। ১৯১১ সালে তিনি ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভূগোলের অধ্যাপক হন। এরপর ১৯১৪ সালে ঢাকা বিভাগে মুসলিম শিক্ষা সহকারী স্কুল পরিদর্শক হিসেবে যোগ দেন। ১৯১৭ সালে তাকে কলকাতা ট্রেনিং স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ১৯২১ সালে তিনি সদ্য প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বোর্ডের সুপারিন্টেনডেন্ট হন। আমৃত্যু তিনি এই পদে বহাল ছিলেন।
শিক্ষা বিভাগে বিভিন্ন কাজে অসামান্য দক্ষতা, গভীর দায়িত্ববোধ ও উদ্ভাবনী শক্তির স্বীকৃতিস্বরূপ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাকে ১৯১৯ সালে খান সাহেব উপাধিতে ভূষিত করেন ও ১৯২৬ সালে তাকে খান বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করে। খ্যাতিমান সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক ১৯২৬ সালের ২০ মার্চ কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।