বৃহস্পতিবার ● ১৫ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » খুলনার সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ফল উৎসব
খুলনার সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ফল উৎসব
ফল উৎসব আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত আমাদের সবার ফল খাওয়া উচিৎ। খাদ্য তালিকায় দেশীয় ফল সংযোজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশীয় ফল বৃদ্ধির লক্ষে সবার উচিৎ হবে বাড়ির আনাচে-কানাচে ফলজ গাছ রোপন করা। আমাদের দেশে যে সব ফল উৎপাদন হয় তা প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে রফতানি করা যেতে পারে। এসব কথা বলেন সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ফল উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তারা ।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে ও শিল্পকলা একাডেমি খুলনার সহযোগিতায় সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ফল উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু। সাংস্কৃতিক পর্বে সভাপতিত্ব করেন গোপী কিষণ মুন্ধড়া। সঞ্চালনা করেন শিল্পকলা একাডেমির কালচার অফিসার সুজিত কুমার সাহা ও মাসুদ মাহামুদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আযম খান কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ কার্তিক চন্দ্র মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফম মহসিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল কুমার দাস, প্রফেসর এম আবুল বাশার মোল্লা, মহিলা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হাসনা হেনা, মোঃ আবু ছাইদ, এ্যাডঃ মোমিনুল ইসলাম, ভার্গব বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি রুহুল আমিন সিদ্দিকি, সৈয়দ আলী হাকিম, অসীম আনন্দ দাস,সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, শেখ দিদারুল আলম, কাজী মোতাহার রহমান বাবু, প্রফেসর মোস্তফা কামাল, অধ্যক্ষ আউয়াল রাজ, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, রোজী রহমান, দিলারা পারভীন, এস এম সোহরাব হোসেন, ভারতী ঘোষ, এস এম জাফর ইকবাল, শেখ আব্দুল সালাম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মাজেদ জাহাঙ্গীর,অশোক চক্রবর্ত্তী, জয় বৈদ্য, এ্যাডঃ তপন কুমার ভট্রচার্য্য, মোঃ হারুণউর রশীদ, বিনয় কুমার সিংহ, মানস কুমার রায়, এ্যাডঃ এম এ সাত্তার, এ্যাডঃ অচিন্ত্য কুমার দাস, শরিফুল ইসলাম সেলিম,অধ্যক্ষ মির্জা নূরুজ্জামান, আইনুল হক,দীপ কুমার বৈদ্য, লতা মন্ডল, এস এ রাকিব, সুরেশ কুমার আগরওয়ালা,জেসমিন জামান ,নুরুন নাহার হীরা,নাসরিন হায়দার, আফরোজা জেসমিন বিথী,জাহানারা আলী জানু, আলোয়া নাসরিন, ধনঞ্জয় কুমার , লিটন চক্রবর্ত্তী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন ও কোষাধ্যক্ষ বিধান চন্দ্র রায় প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ফুলে ফলের এই দেশ, ষড় ঋতুর বাংলাদেশ। জৈষ্ঠের মধুমাখা আষাঢ় মাসে, সু-স্বাগতম ফল উৎসবে। ফল উৎসবে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, কলা, কাউফল, পেয়ারা সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল প্রদর্শনীর পাশাপাশি অতিথিদেরকে ফল কেটে খাওয়ানো হয়। এসময় বক্তারা এরকম ব্যতিক্রম ধর্মী এই উদ্যোগ গ্রহন করায় আয়োজককারীকে সাধুবাদ জানান। অথিতিবৃন্দ বলেন, এই সুন্দর আয়োজনের মধ্য দিয়ে কেবল ফল খাওয়া টাই মুখ্য নয় বরং পরস্পর পরস্পরের সাথে এক টেবিলে বসে দল-মত-নির্বিশেষে চমৎকার সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এমন আয়োজন যেন প্রতিবছর হয় সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।