মঙ্গলবার ● ২৭ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছার গদাইপুর ইউনিয়নে ভিজিএফ কার্ডের চাউল বঞ্চিতদের মানববন্ধন
পাইকগাছার গদাইপুর ইউনিয়নে ভিজিএফ কার্ডের চাউল বঞ্চিতদের মানববন্ধন
পাইকগাছার গদাইপুর ইউনিয়ানে ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে ভিজিএফ কার্ডের ১০ কেজি না দেওয়ায় ভুক্তভোগিরা চাউলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বঞ্চিতরা চাউলের দাবিতে মানববন্ধন করে। ভিজিএফ র্কাড পেয়েছে এমন প্রায় তিনশত জনকে চাউল দেওয়া হয়নি বলে মানববন্ধনে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেছে। মানববন্ধনে শহিদুল মোড়ল, রহমত মোড়ল, আব্দুল আজিজ, হায়দার আলী, আব্দুর রহিম, শওকত আলী, নুর ইসলাম, মিয়াজান, জয়নাল, শাহাবুদ্দীন, আফিল উদ্দীনসহ চাউল থেকে বঞ্চিত প্রায় শতাধিক ভুক্তভোগী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে গদাইপুর ইউনিয়ানে ১৮ শত জনকে ভিজিএফ কার্ডে দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া ও সচিব মো: বেলাল হুসাইল স্বাক্ষরিত ভিজিএফ কার্ড তৈরী করা হয়েছে। শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া বর্তমানে হজ্বের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। ইউনিয়নের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ খোরশেদুজ্জামান। কার্ড প্রতি ১০ কেজি করে চাউল দেওয়া হবে। সোমবার ইউনিয়ান পরিষদে ভিজিএফ কার্ডের চাউল বিতারণ করা হয়। পরিষদ থেকে দেওয়া চা্উল বাহিরে এনে মেপে দেখে সাড়ে সাত কেজি, আট কেজি ও সাড়ে আট কেজি করে চাউলের ওজন হচ্ছে। চাউল বিতারণের শুরু থেকে নানা অনিয়ম, স্বেচারিতা ও চাউল ওজনে কম দেওযা হতে থাকে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগিরা দায়িত্বশিল ব্যক্তিদের অবহিত করে। সকাল থেকে ভিজিএফ কার্ডের চাউল নেওয়ার জন্য লোকজন ভীড় করতে থাকে। এক সময় ইউনিয়ান পরিষদ লোকে ভরে যায়, ভীড় টেলে সামনে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। ভীড় ও গরমে চাউল নিতে আসা অনেক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সোমবার য়ে সকল ব্যক্তি চা্উল নিতে পারেনি তাদেরকে মঙ্গল সকালে চাউল দেওয়া হবে বলে পরিষদ থেকে জানানো হলে মঙ্গল সকালে চাউল আনতে গিয়ে চাউল না দেওয়ায় ভুক্তভোগিরা চাউলের দাবিতে মানববন্ধনে তারা তাদের অভিযোগ তুলে ধরে। মঙ্গলবার সকালে চাউল বঞ্চিতরা গদাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক নির্মল অধিকারীকে জানায়। এর মধ্যে গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ খোরশেদুজ্জামান ও সচিব বেলাল নির্মল চন্দ্র অধিকারীকে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি চাউল বঞ্চিত ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করে প্রতিজনকে ৫ কেজি করে চাউল দেওয়ার প্রস্তাব করেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব এ শর্তে রাজী না হওয়ায় ভুক্তভোগী চাউল বঞ্চিতরা গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন। গদাইপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ খোরশেদুজ্জামান বলেন, আমাকে কোন দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি। সচিব শরিফুল, নান্টুদেরকে নিয়ে চাউল বিতরণ করেছে। সচিব বেলাল বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য নির্মল চন্দ্র অধিকারীকে অনুরোধ করতে থাকে।আর এ বিষয় নিয়ে সচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকে। এ বিষয়ে গদাইপুর ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার একাডেমিক সুপারভাইজার মীর নূরে আলম সিদ্দিকী’র সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন,আমি শুনেছি, ঈদের পরে তদন্ত কমিটি করে দেখা হবে চাউল দেওয়া হয়েছে কি না। মানববন্ধনে ভুক্তভোগিরা চাউল না পাওয়ায় এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ঈদের পরে অভিযোগ করবেন বলে জানান।