রবিবার ● ২ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » রাজনীতি » খুলনার ছয়টি আসনে আ’লীগের সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী প্রচার প্রচারণায় সরব
খুলনার ছয়টি আসনে আ’লীগের সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী প্রচার প্রচারণায় সরব
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনার ছয়টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণায় সরব। ক্ষমতাসীন আ’লীগে প্রতিটি আসনের বিপরীতে রীতিমতো প্রার্থী ভীড়। একাধিক আসনে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে, আসতে পারে নতুন মুখ। ঈদুল ফিতর ও আসন্ন ঈদুল আযহায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণা, প্যানা-ফেস্টুন দৃশ্যত চোখে পড়ার মতো ছিলো।
সূত্রমতে, গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ৩৯ জন আবেদনপত্র গ্রহণ ও জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনে সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল একমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সর্বাধিক আবেদনপত্র জমা পড়েছিল খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে ১৪ জন। আগামী নির্বাচনেও খুলনার একাধিক আসনের প্রার্থী পরিবর্তনের গুঞ্জন উঠেছে। বর্তমান একাধিক সংসদ সদস্য নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও দলীয় প্রতিবেদনে উঠে আসা বির্তকিত বর্তমান সংসদ সদস্যরা বাদ পড়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে সে সব আসনে ক্লিন ইমেজ’র জনপ্রিয় প্রার্থী খুঁজছে আ’লীগ।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এখন পর্যন্ত প্রস্তুত হচ্ছেন খুলনা-১ (দাকোপ ও বটিয়াঘাটা) আসনে আ’লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দলীয় হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য এড. গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার ও জেলা আ’লীগ নেতা শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল। তবে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সোহেল দলীয় মনোনয়ন পেলে অবাক হবেন না দলীয় নেতা-কর্মীরা।
খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনে একমাত্র প্রার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র বর্তমান সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। তবে দলটির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানের রয়েছে জনপ্রিয়তা।
খুলনা-৩ (খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, আ’লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, নগর আ’লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ মোঃ ফারুক হাসান হিটলু এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য, দৌলতপুর থানা আ’লীগের সভাপতি ও বিজেএ’র সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী দলটির জোরালো প্রার্থী।
আগামী নির্বাচনে খুলনা-৪ (রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার শিল্পপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এখনি প্রচার-প্রচারণা করছেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী, যুগ্ম-সম্পাদক শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু ও মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, প্রয়াত সংসদ সদস্য ও সংসদের হুইপ এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ছেলে জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ণ এবং নগর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুর রহমান পলাশ। তবে বর্তমান সংসদ সদস্য জড়িয়ে পড়েছেন নানা বিতর্কে।
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া ও ফুলতলা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, জেলা আ’লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অজয় সরকার, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি ও সদর থানা আ’লীগের সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম এবং অর্থনীতিবিদ ড. মাহাবুব উল ইসলাম মনোনয়ন প্রত্যাশী। প্রথমবারের মতো ঈদ-উল আযহায় শুভেচ্ছা প্যানায় ডুমুরিয়া ও ফুলতলাবাসীর মাঝে উষ্ণতা ছড়িয়েছেন এড. সাইফুল ইসলাম।খুলনা-৬ (কয়রা ও পাইকগাছা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু ছাড়াও এ আসনটিতে খুলনার সর্বাধিক প্রার্থী রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য এড. সোহরাব আলী সানা, জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, জেলা আ’লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জি এম মাহবুবুল আলম, প্রয়াত সংসদ সদস্য এড. শেখ মোঃ নূরুল হকের ছেলে জেলা আ’লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, জেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মোহাঃ শেখ শহীদ উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল ও জেলা আ’লীগের সদস্য্ শেখ মনিরুল ইসলাম ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থী।
আ’লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল। দলটিতে নির্বাচন করার মতো যোগ্য প্রার্থী প্রতিটি আসনে ১০ জনেরও বেশি রয়েছে। এটা প্রমাণ করে দলের সিদ্ধান্তের প্রতি দলীয় নেতা-কর্মীদের আস্থা সুদৃঢ় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিবেন নেতাকর্মীরা সে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।