বুধবার ● ৫ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » পাইকগাছার পারশেমারী রাস্তা কেটে খাল করে রাখায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে
পাইকগাছার পারশেমারী রাস্তা কেটে খাল করে রাখায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে
খালের মত দেখতে হলেও এটি একটি গ্রামীন রাস্তার দৈন্যদশা। পাইকগাছায় পারিশামারী সড়কের এমন হাল হয়েছে।। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিপনা আর চরম উদাসীনতায় দুর্ভোগে পড়েছে সোলাদানার পারিশামারী সড়কের আশপাশ গ্রামের মানুষ। কদিনের ভারী বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগের সীমা নেই। দু’মাস পূর্বে মাটি খুঁড়ে রাখা একমাত্র চলাচল রাস্তা এখন কাঁদা-জলে পিচ্ছিল হয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তার মাটি কেটে কাজ না করে মাসের পর মাস খাল করে রাখায় জনদুর্ভোগে বাড়ছে। পানির চাপে দু’পাশের রিং বাঁধ খালে ধ্বসে পড়ছে। মালামাল বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
জানাগেছে, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে খুলনা বিভাগীয় পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ কাজ। পারশেমারীর বৈরাগীর বাড়ী এলাকা থেকে আমুরকাটা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ডবল ইটের সোলিং এর রাস্তার জন্য ১ কোটি ৫২ লাখ ৪৬ হাজার টাকার বরাদ্দ হয়। যার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরার মের্সাস কানিজ ট্রেডিং।
কয়েকমাস আগে কার্যাদেশ পেয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। রাস্তা পাকা করণে মাটি কেটে খাল করে ফেলে রাখা হয়েছে মাসের পর মাস। এজন্য চরম দুর্ভোগে পড়েছে সর্বসাধারণ। বিশেষ করে বৃষ্টিতে রাস্তার মাঝে হাটু পানি।আর দুধারে মাটি উঁচু করে আইল করে রাখলেও তা ধ্বসে পড়ছে। ফলে শিশু,বয়োবৃদ্ধ ও হাটে-বাজারের লোক,স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়তে পড়েছে কঠিন সমাস্যায়। মটর সাইকেল, বা ইজ্ঞিন চালিত বাহন নিয়ে অজানা ব্যক্তিরা এ রাস্তায় এসে পড়ছে কঠিন বিপাকে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান লাভলু বলেন,রাস্তার যে অবস্থা তা দ্রুত শেষ না হলে বর্ষাকালে ভাগান্তির শেষ থাকবেনাে এ বিষয়ে ঠিকাদার ইকবাল হোসেন বলেন, আবুল হাসনাতকে কাজ দিয়েছিলাম তিনি না করায় কাজের এ অবস্থা। তবে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ না করলে প্রয়োজনে বাতিল করে দেয়া হবে।