বুধবার ● ১২ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় সকল নাগরিকদের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত ও বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহারের দাবীতে গণঅবস্থান কর্মসূচী
সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় সকল নাগরিকদের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত ও বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহারের দাবীতে গণঅবস্থান কর্মসূচী
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ;
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা পৌরসভার বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহার এবং রাস্তাঘাট-ড্রেনেজসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবীতে বুধবার (১২ জুলাই ২০২৩) সকাল ১০টায় পৌরসভার সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি এবং জেলা জলবাযু অধিপরামর্শ ফোরাম । গণঅবস্থান থেকে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ এবং ৩০ জুলাই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
জেলা নাগরিক কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন এবং কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের আহবায়ক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল।
গণঅবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, সুধাংশু শেখর সরকার, শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, সাবেক পিপি এ্যাড. ওসমান গনি, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, ইদ্রিস আলী, কাজী আকতার হোসেন, আবুল হোসেন, হাসান ইমাম, নিত্যানন্দ সরকার, মুনসুর রহমান, আবু তালেব, আব্দুস সামাদ, আদিত্য মল্লিক, আব্দুস সাত্তার, মো.আব্দুল্লাহ, কামরুজ্জামান কামু, গৌরপদ দাস, লিডার্স কর্মী সুলতা সাহা, বায়জিত হোসেন প্রমুখ। কর্মসূচি পরিচালনা করেন আলী নুর খান বাবলু।
বক্তারা বলেন, কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সাতক্ষীরা পৌরসভার সরবরাহকৃত পানির বিল চারগুন বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার মেয়র, ভারপ্রাপ্ত মেয়রসহ পৌর পরিষদের সাথে একাধিকবার আলাপ-আলোচনাকালে অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধিকৃত বিল প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়। পৌর মেয়র নিজেও অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধিকৃত বিল প্রত্যাহারের আশ্বাস দেন। কিন্তু অদ্যবধি বিল প্রত্যাহার করা হয়নি।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে সাতক্ষীরাই একমাত্র পৌরসভা- যেখানে আগে নিউমার্কেট ছিল এখন নেই। আগে পাবলিক অডিটরিয়াম ছিল এখন নেই। আগে পৌর মিলনায়তন ছিল এখন নেই। আগে শিশু পার্ক ছিল এখন নেই। আগে রাস্তায় ঝাড়–দার ছিল এখন নেই। আগে রাস্তার পাশে ফুটপাথ না থাকলেও সাধারণের চলাচলের পরিবেশ ছিল এখন নেই। আগে সুলতানপুর বড়বাজারে তরিতরকারী ব্যবসায়ীদের বসার জায়গা ছিল এখন নেই। তারা এখন রাস্তায় বসে। ইটাগাছা সান্ধ্য হাটের অস্তিত্ব বিলুপ্ত প্রায়। শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক দখল করে সেখানে কমপক্ষে ১০টি অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে অবসর বিনোদনের কোন পরিবেশ নেই। বিভিন্ন এলাকায় আগে পাবলিক টয়লেট থাকলেও এখন তার অধিকাংশই নেই। আগে ডাসবিন ছিল এখন নেই। রাস্তার পাশে পাকা পানির ট্যাপ ছিল এখন নেই। আগে রাস্তাঘাট ছিল এখন তার ছাল-চামড়া নেই। যানজট নিরসনে রাস্তায় ট্রাফিক দাড়ানোর জায়গা নেই। নতুন নতুন এলাকায় আবাসন গড়ে উঠলেও সেখানে যাতায়াতের কোন রাস্তাঘাট নেই। প্রাণ সায়র খালের প্রাণ নেই। দশ বছর পূর্বে সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়ক নির্মিত হলেও শহরের সাথে যুক্ত লিঙ্ক রোডগুলো উপযোগী করে গড়ে না তোলার কোন উদ্যোগ নেই। শহরের যানজট নিরসনে প্রধান সড়কের সাথে অন্যান্য সড়কগুলোর পর্যাপ্ত লিঙ্ক রোড নির্মাণের উদ্যোগ নেই।
বক্তারা আরো বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার সরবরাহকৃত পানি আগে শুধু ব্যবহার উপযোগীই ছিল না, তা শহরের লোকজন ছাড়াও ভ্যান-পিকআপ-ট্রাকযোগে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যেয়ে মানুষ পান করতো। কিন্তু এখন যে পানি সরবরাহ করা হয় তা পান করাতো দুরের কথা ব্যবহার উপযোগী নয়। অধিকাংশ গ্রাহক নিয়মিত পানি পান না। যেকারনে আগে পানির ১৬ হাজার গ্রাহক থাকলেও এখন তা কমে ১০ হাজারে এসে দাড়িয়েছে।
বক্তারা পৌরসভার সকল সমস্যা সমাধানে এবং বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহারে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।