সোমবার ● ১৪ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় ঈদ আযহায় ভিজিএফ’র চাল বঞ্চিতরা অভিযোগ করল ডিসি’র কাছে
পাইকগাছায় ঈদ আযহায় ভিজিএফ’র চাল বঞ্চিতরা অভিযোগ করল ডিসি’র কাছে
খুলনার পাইকগাছায় ঈদুল আযহায় গরীবদের স্লিপ দিয়ে ভিজিএফ’র চাল বঞ্চিত করার ঘটনায় মানববন্ধনের পর ইউএনও কাছে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার না পেযে এবার লিখিত অভিযোগ করেছে খুলনা ডিসি’র কাছে। ২৩ জুলা্ই গদাইপুর ইউপি’র সরকারী চাল থেকে বঞ্চিতরা প্রতিকার চেয়ে ডিসির কাছে এ অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, ৪ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে গদাইপুর ইউপি’র সরকারী চাল থেকে বঞ্চিতরা প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ অভিযোগ করেন। ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে প্রতিবারের ন্যায় এবারো ১টি পৌরসভা ও ১০ ইউনিয়নে ভিজিএফ’র চাল বরাদ্দ হয়। সে অনুযায়ী গদাইপুর ইউনিয়নে গরীব মানুষের জন্য ১০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল বিতরণের জন্য ১৮৩১ টি কার্ড বরাদ্দ হয়। গত ২৭ জুন ইউনিয়ন পরিষদে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদুজ্জামান ও পরিষদের সচিব মুহাঃ বেলাল হুসাইনের নেতৃত্বে চাল বিতরন করা হয়। চাল বিতরনের পুর্বে ইউপি চেয়ারম্যান ও পরিষদ সচিবের স্বাক্ষরে প্রত্যেক কার্ডধারী ব্যক্তিদের স্লিপ দেয়া হয়। কিন্তু ভুক্তভোগীদের অভিযোগ তাদের স্লিপ দেয়া হলেও প্রায় ২শ স্লিপধারী গরীব মানুষ চাল বঞ্চিত হয়ে বাড়ী ফিরে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ওজনে কম দিয়ে ৭/৮ কেজি চাল দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করলে সর্বত্র বিরুপ প্রভাব পড়ে। সর্বশেষ চাল বঞ্চিত চেঁচুয়া গ্রামের নূরআলী দপ্তরী,জামিরুল গাজী,সলেমান,আব্দুর রহিম,শাহাদৎ গাজীসহ শতাধিক ভুক্তভোগী মানুষ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিবসহ অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগমের কাছে অভিযোগ করেছেন। এ অভিযোগ সম্পর্কে মোবাইলে জানতে চাইলে গদাইপুর ইউপি সচিব মুহাঃ বেল্লাল হুসাইন বলেন,গত ২৭ জুলাই ১ দিনে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে চাল বিতরণ করা হয়। স্লিপধারীরা হাজির না হলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে এ চাল দেওয়া হয়। কিন্তু পরেরদিন অর্থাৎ ২৮ জুলাই স্লিপধারীরা পরিষদে এসে চাল দাবি করলে তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খোরশেদুজ্জামান বলেন,চাল বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি। কিন্ত স্লিপের চাল গেল কোথায় এ সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কিছু লোক ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে উপজেলা অফিসার মমতাজ বেগম জানান, তদন্ত করে অভিযোগের বিষয়টি প্রমানিত হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।তবে ভুক্তভুগিরা জানায়, অভিযোগের কোন প্রতিকার তারা পাইনি।চেচুয়া গ্রামের নুর আলী বলেন, অভিযোগের পতিকার চেয়ে এখন হুমকি-ধমকি পাচ্ছি।আমরা নিরুপায় হয়ে সুবিচার পাওয়ার জন্য ডিসি স্যারের কাছে অভিযোগ করেছি।এবিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন,অভিযোগের বিষয় তদন্তের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টির খোজ নিচ্ছি।