মঙ্গলবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » নড়াইলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৫২ তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত
নড়াইলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৫২ তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত
ফরহাদ খান, নড়াইল ; নড়াইলে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫২তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) নূর মোহাম্মদ নগরে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর মধ্যে-কোরআনখানি, কুইজ প্রতিযোগিতা, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, গার্ড অব অনার, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
এছাড়া জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন-জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাস্টের সদস্য সচিব ও চন্ডিবরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেলিম আহম্মেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা এস এ মতিন, সদর থানার ওসি ওবাইদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে মোস্তফা কামালসহ অনেকে।
মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণের সাহসী সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে শাহাদাতবরণ করেন। এদিন পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীকে প্রতিরোধ এবং দলীয় সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন নূর মোহাম্মদ। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
পরিবারসহ তার জীবনাদর্শ থেকে জানা যায়, নূর মোহাম্মদ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা, মতান্তরে জেন্নাতা খানম। বাল্যকালেই বাবা-মাকে হারান তিনি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তবে, মতান্তর রয়েছে। মহিষখোলার নাম পরিবর্তন করে ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ নূর মোহাম্মদ নগর করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন ৮নম্বর সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল (অব:) আবু ওসমান চৌধুরী নূর মোহাম্মদ নগরের উদ্বোধন করেন।
এরপর উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যায় নূর মোহাম্মদ নগর। তার স্মৃতিরক্ষার্থে নূর মোহাম্মদ নগরে নির্মাণ করা হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’, স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্কুল ও কলেজ। এছাড়া নড়াইল শহরে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়াম এবং নড়াইল ও যশোর শহরে সন্তানদের জন্য বাড়ি।