শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১

SW News24
রবিবার ● ৫ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » রাজনীতি » দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে প্রার্থীর ছড়াছড়ি
প্রথম পাতা » রাজনীতি » দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে প্রার্থীর ছড়াছড়ি
২১৬ বার পঠিত
রবিবার ● ৫ নভেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে প্রার্থীর ছড়াছড়ি


  নভেম্বর মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা ও আগামী বছরের প্রথমে নির্বাচন। নির্বাচনি এলাকা  খুলনা-৬ আসনে (কয়রা-পাইকগাছা) উপজেলায় বইছে ভোটের হাওয়া। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো রয়েছে সরকার পতনের আন্দোলনে। আর  আওয়ামী লীগে আছে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ চলছে গোটা নির্বাচনী এলাকায়। চলছে একে অপরে কাঁদা ছোড়াছুড়ি। এর মধ্যে প্রতিপক্ষের পোস্টার ছেড়া, আবার সে ঘটনায় জিডির ঘটনাও ঘটছে। নির্বাচনী এলাকায় ঘন ঘন ছুটছেন দলের নেতারা।আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এক ডজনের বেশি কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের আ’লীগ নেতা রয়েছে। এ সকল নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তৃণমূলে জনপ্রিয়তায় বেশ এগিয়ে রয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আঁটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। ভোটের আগে মাঠের লড়াইয়ে দলীয় পর্যায়ে লবিং গ্রুপিং এর পাশাপাশি নিজ নিজ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূলে গণসংযোগ শুরু করেছেন প্রার্থীরা। দলের সবুজ সংকেত পেতে অব্যাহত চেষ্টা চলছে তাদের। আসনটিতে বর্তমান সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুর পাশাপাশি সরকার দলীয় অন্তত এক ডজন সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়মিত মাঠে গণসংযোগ করতে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন জাতীয় দিবস, উৎসব ও দলীয় কর্মসূচীতে নিজেদের সক্রিয় সম্পৃক্ততা ও ব্যানার-পোষ্টারের মাধ্যমে নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাশার বিষয়টি জানান দিচ্ছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনের সংসদ সদস্য হন আ’লীগ নেতা সোহরাব আলী সানা। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এবং ঘূর্ণিঝড় আইলা উপকূলীয় এলাকার বাঁধ নির্মাণে আনয়ম,স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগ উঠতে থাকে তার বিরুদ্ধে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হন। জেলার এই প্রবীণ নেতা পুনারায় এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শেখ মোঃ নুরুল হক। কিন্তু বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।পাইকগাছা উপজেলায় বিরোধপূর্ণ ৫০ শতক জমির চারপাশে উঁচু দেয়াল তুলে দেন সংসদ সদস্য নূরুল হকের লোকজন। তাতে ওই দেওয়ালের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন সেখানে বসবাসকারী আবদুল আজিজ গোলদারের পরিবার। তারা দীর্ঘদিন ধরে মই লাগিয়ে দেওয়ালের ওপর দিয়ে এবং গর্ত খুঁড়ে দেওয়ালের নিচ দিয়ে চলাচল করতে থাকেন। যা দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায়ও প্রচারিত হয়। তৈরি হয় তোলপাড়। এমনকি দলীয় সভাতেও নুরুল হককে ভর্ৎসনা করা হয়। পরে ওই দেওয়াল উদ্বোতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ভেঙ্গে দেয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ফখরুল আলম । এছাড়া তার ছেলে শেখ মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ও এলাকায় ইটভাটা দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল হকের মৃত্যুর পর তার দু’ পুত্র জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ মনিরুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম মনোনয়ন পেতে মাঠে আছেন। উল্লেখ্য, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ আছে শেখ মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে শেখ রাশেদুল ইসলাম নারী কেলেংকারী ঘটিত মামলা করে নিজেই হয়েছেন সমালোচিত। এদিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ চাইছে প্রার্থী পরিবর্তন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা পাইকগাছা-কয়রার সন্তানদের যে কাউকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। বর্তমান ও সাবেক এমপির ইমেজ সংকটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বেড়েছে দলের তরুন নেতাদের।


মনোয়ন প্রত্যাশী অন্য যে সকল নেতাদের নাম শোনা যাচ্ছে তার মধ্যে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মণ্ডল। তিনি ও তার অনুসারীরা মাঠে রয়েছেন বেশ সরব। আসনটিতে দলের আর এক মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম। তিনি ২০১৬ সালে অনানুষ্ঠানিক ভাবে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে। তবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আগে তাকে কখনো দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন দলের দ্বায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা। এছাড়া মাহবুব আলম ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে ভূমিকা নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন তিনি। আসনটিতে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক সানা ইউনুসুর রহমানের ছেলে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের  অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সদস্য সাইফুল্লাহ আল মামুন। দলের তরুন নেতা হিসাবে তিনি বেশ আলোচিত। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেন, তিনি কোন গ্রুপিংয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নন। তার অনুসারীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি এলাকা ভিত্তিক উন্নয়ন ও বিভিন্ন সামাজিক, অরাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে এলাকার শিক্ষিত তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী পছন্দের শীর্ষে রেখেছেন। মাঠে অন্যান্যদের মতো তৎপর না থাকলেও আলোচনায় আছেন কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম।মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম রাজুর নামও শোনা যাচ্ছে।

কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি.এম মহসিন রেজা সম্প্রতি মাঠে নামায় নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন। ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কয়রা উপজেলায় আ’লীগ-সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন জি এম মহসিন রেজা। আইলার টাকা নিয়ে দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে অনাস্থা আনলে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত হন তিনি। কিন্তু পরে তাকেই আবার দল থেকে ২০১৪ সালে ও ২০১৯ সালে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল ইসলামের কাছে পরাজিত হয় তিনি । তবে চলতি বছরে জাতীয় শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রধান বক্তা স্থানীয় সংসদ সদস্যের বক্তব্যকালে তার অনুসারীরা জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু স্লোগান করলে কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি, এম মহসিন রেজা উত্তেজিত হয়ে প্রধান বক্তার বক্তব্য বন্ধ করে দিয়ে সারাদেশে আলোচনার ঝড় তুলেন তিনি। 

এছাড়া বিগত সংসদ নির্বাচনে পাইকগাছা পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর,পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশিদুজ্জামান মোড়ল ও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. শেখ শহীদুল্যাহ প্রার্থী হওয়ার জন্য তাদের তৎপরতা তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।

অপর দিকে বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় এবং জামায়াতের সঙ্গে জোট হলে আসনটিতে জোটের প্রার্থী হতে পারেন জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। আর জোটবদ্ধ না হলে বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আছে জেলা বিএনপি’র  উপদেষ্টা এড. মোমরেজুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক। এছাড়া প্রার্থী  হিসেবে এলাকার ব্যরিস্টার নিয়াজ মোর্শেদ তার বন্ধুদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন কিন্তু তিনি কোন দলের প্রার্থী তা জানা যায়নি। আর জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু ও  জাপা নেতা মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীরও নির্বাচনে প্রার্থী হতে মাঠে কাজ করছেন। জেলা জাপার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু নিজেকে জাপার প্রার্থী দাবি করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদে সেবা মুলক কর্মকান্ড করে চলেছি। সুখে দুঃখে সাধ্যমত মানুষের পাশে রয়েছি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে জাপার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। গত দু’ বছর আগ থেকে দল তাকে ওই আসনে জাপার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে, সেভাবেই তিনি এখনও কাজ করে চলেছেন বলে জানান ।এদিকে ইসলামী আন্দোলনের খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক আসাদুল আল গালিব, জাকের পার্টির আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজু। ---সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আনছার আলী নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।





রাজনীতি এর আরও খবর

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার
নড়াইলে বিএনপির সম্মেলনে আ’লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাদের ভোটার করার অভিযোগ নড়াইলে বিএনপির সম্মেলনে আ’লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাদের ভোটার করার অভিযোগ
সাবেক এমপি মোঃ রশীদুজ্জামান ৩ দিনের রিমাণ্ডে সাবেক এমপি মোঃ রশীদুজ্জামান ৩ দিনের রিমাণ্ডে
কয়রায় সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ আব্দুল মজিদের মতবিনিময় কয়রায় সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ আব্দুল মজিদের মতবিনিময়
বিচারের নামে করা হয়েছে প্রহসন    -আমীর ,জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ বিচারের নামে করা হয়েছে প্রহসন -আমীর ,জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ
শুধু ক্ষমতার পালাবদল নয়,কাঙ্খিত মুক্তির জন্য চাই আদর্শিক পরিবর্তন - মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শুধু ক্ষমতার পালাবদল নয়,কাঙ্খিত মুক্তির জন্য চাই আদর্শিক পরিবর্তন - মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম
পরাজিত শক্তির সকল অপকৌশল রুখে দিয়েছে বিএনপ  -বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, নিতাই রায় চৌধুরি পরাজিত শক্তির সকল অপকৌশল রুখে দিয়েছে বিএনপ -বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, নিতাই রায় চৌধুরি
আওয়ামীলীগ সরকার ছিল ফ্যাসিবাদী সরকার -সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার ছিল ফ্যাসিবাদী সরকার -সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ
যত দ্রুত সম্ভব অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন দিয়ে অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে বিদায় নিতে হবে….মিয়া গোলাম পরওয়ার যত দ্রুত সম্ভব অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন দিয়ে অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে বিদায় নিতে হবে….মিয়া গোলাম পরওয়ার
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মামলার প্রতিবাদে মাগুরায় স্মারকলিপি প্রদান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মামলার প্রতিবাদে মাগুরায় স্মারকলিপি প্রদান

আর্কাইভ