সোমবার ● ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » পরিবেশ » পাইকগাছায় ফুটপথের দোকানে শীতবস্ত্র বিক্রির ধুম লেগেছে
পাইকগাছায় ফুটপথের দোকানে শীতবস্ত্র বিক্রির ধুম লেগেছে
ঘন কুয়াশা আর হালকা বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।শীতের তীব্রতা বাড়ায় পাইকগাছাসহ উপকূল অঞ্চলের সাধারণ মানুষের ভূগান্তি বাড়ছে। তাই শীত নিবারণে পাইকগাছায় ফুটপথের দোকান গুলোতে নতুন-পুরাতন শীত বস্ত্র বিক্রির ধুম লেগেছে। সারাদেশে শীত জেকে রসেছে। প্রচন্ড শৈত প্রবাহ ও হাঁড় কাঁপানো শীতে মানুষ সহ প্রাণী কুল জুবথুব হয়ে পড়েছে। এই শীতে প্রত্যেকের জন্য শীতবস্ত্র আবশ্যক হয়ে পড়েছে। নিন্ম আয়ের মানুষ ও দরিদ্রদের ভরসা কমদামের ফুটপথের শীতবস্ত্রের দোকান।যে যার সাধ্যমত শীতবস্ত্র ক্রয় করছে।ফুটপথের পুরাতন কাপড়ের দোকান গুলোতে মাঝে মধ্যে ভাল মানের পোশাক পাওয়া যায়। যা দেখতে একেবারেই নতুনের মত। তাই এ সব দোকানগুলোতে মধ্যবিত্ত ও ধনীদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। তীব্র শীতে নতুন শীতবস্ত্রের পাশাপাশি পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে।
পাইকগাছায় ৩/৪টি স্থায়ী পুরাতন কাপড়ের দোকান থাকলেও শীতের এ সময় পাইকগাছা মাছ কাটা রোড ও পৌরসভার পাশের ৬/৭টি পুরাতন শীত বস্ত্রের দোকান বসেছে।তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন সাপ্তিহিক হাটে শীত বস্ত্র বিক্রি হচ্ছে। এসব দোকানে শীতের জ্যাকেট, সুয়েটার, কোর্ট, মাফলার, গেঞ্জী, মোজা ও মেয়েদের বিভিন্ন ডিজাইনের গরম কাপড়ের পরসা সাঁজিয়ে বসেছে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীত বস্ত্রের বিক্রি ও বেড়েছে। পুরাতন কাপড়ের দোকানে অনেক ভাল মানের পোশাক পাওয়া যায়। যা কিনা নতুন কাপড়ের দোকানে পাওয়া যায় না। সে জন্য মাঝে মধ্যে এসব দোকানে উচ্চ বিত্তদের উকি ঝুঁকি দেখা যায়। গরীব মানুষ পুরাতন কাপড় কম দামে কেনার জন্য ফুটপথের দোকানে ভীড় করে বেশি। পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী সরোয়ারা গাজী, মনির ও আবুল হোসেন জানায়,শীত বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনা ভাল হচ্ছে। বাচ্চাদের শীতবস্ত্র বিক্রেতা ইউছুপ আলী জানান, শুরুতে শীত কম থাকায় বিক্রি তেমন একটা ছিল না। তবে তীব্র শীত শুরু হওয়ায় বাচ্চাদের পোশাকের চাহিদা বেড়েছে, তেমনি বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ। ২০-৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৫শ থেকে ৮শ টাকা দর থেকে বিভিন্ন দামের পোশাক রয়েছে। তারা আরো জানায় উচ্চবিত্ত ক্রেতাদের কোন পোশাকটি পছন্দ হলে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। শীতে বস্তিবাসী, দরিদ্র, ও নিম্ন আয়ের মানুষের পছন্দ কম দামের পুরাতন শীতবস্ত্রের ফুটপথের দোকান। তাই শীত জেঁকে বসায় দরিদ্র ও অল্প আয়ের মানুষ শীতের হাত থেকে বাঁচতে শীতবস্ত্র কিনছে ফুটপথ থেকে।