বৃহস্পতিবার ● ১১ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় শিবসা নদীর চরভরাটি সরকারী জমিতে স্থাপনা তৈরীর অভিযোগ
পাইকগাছায় শিবসা নদীর চরভরাটি সরকারী জমিতে স্থাপনা তৈরীর অভিযোগ
পাইকগাছায় মৎস্য আড়ৎদারী সমিতির বিরুদ্ধে কোটি টাকা মূল্যের শিবসা নদী ভরাটি সরকারী জমি দখল করে পাঁকা স্থাপনা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গোছ, সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনের কাজে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যস্ত থাকার সুযোগ নিয়ে পৌর সদরের মাছ কাঁটা ঘেষা সরকারী জমিতে অবৈধ ভাবে পাঁকা প্রাচীর দিয়ে ভিতরে স্থাপনার কাজ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলা ও পৌরসভার পাশ দিয়ে বহে যাওয়া এক সময়ের ক্ষরস্রোতা শিবসা নদীতে পলী জমে নদীর দু’পাড়ে বিশাল আকারের চর জেগে উঠে। বিভিন্ন সময় নদী পাড়ের বাসিন্দারা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কারো না কারোর ছত্র ছায়ায় থেকে ১ নং খাস খতিয়ানের নদী ভরাটি সরকারী জমি দখল করে মৎস্য ঘের, ঘরবাড়ী ও কাঁচা-পাঁকা স্থাপনা তৈরী করে দখল করেন। উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে এ সব ঘের ও স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও ভুমি দস্যুদের দৌরাত্ম থেমে থাকেনি। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় মৎস্য আড়ৎদারী সমিতি প্রায় ১বিঘা নদী ভরাটি সরকারী জমিতে বালি ভরাট করে পাঁকা প্রাচীর দেওয়া শুরু করেন। ইতোপূর্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নিয়ে সাবেক ইউএনও মমতাজ বেগম স্থাপনার নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে প্রশাসনের এ দু’কর্মকর্তার বদলী ও সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে আড়ৎদারী সমিতি প্রাচীরের ভিতর বিশাল আকারের পাঁকা স্থাপনার নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছেন। সরকারী জমিতে বালি ভরাট করে পাঁকা স্থাপনা তৈরীর বিষয়ে জানতে চাইলে পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎদারী সমিতির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন ও সম্পাদক মিঠু নায়েব দাবী করেন আমরা ক্রয়কৃত জমির উপর স্থাপনা করছি।
তবে গদাইপুর ইউনিয়ন উপ-সহকারী( ভূমি) কর্মকর্তা মোছাঃ লতিফা খানম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে খবর পেয়ে আড়ৎদারী সমিতির নির্মান কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন,নদীর জমি শ্রেনী পরিবর্তন করে দখল ও পাঁকা স্থাপনা করার প্রশ্নই উঠে না। নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগ নিয়ে যারা সরকারী জমিতে এসব স্থাপনা করছেন তা দ্রুত উচ্ছেদ করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।