সোমবার ● ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » আশাশুনি জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
আশাশুনি জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ। যেখানে ক্রমবর্ধমান হারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। আর সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, বেড়িবাঁধ ভাঙন, অধিক বৃষ্টিপাত, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, খরা ও লবনাক্ততা বৃদ্ধি ইত্যাদি নিত্যদিনের সঙ্গী। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের সংকটকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং উপকূলের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে আশাশুনি উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম গঠন করা হয় এবং যার কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সকাল ১১.০০ টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের সহযোগিতায় আশাশুনি জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে উক্ত অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য তুলে ধরেন ফোরামের সদস্য জনাব বিমল কৃষ্ণ ম-ল, বনমালী দাস, রতন অধিকারী, অজয় ম-ল, মনিরুল ইসলাম, আকাশ হোসেন, আসলাম লিংকন, মিনতি রানী রায়,কল্যানী সরকার সহ আরো অনেকে। সভায় জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও সভায় বক্তারা নবনির্বাচিত সাংসদদের উপকূলের মানুষের পক্ষে বিভিন্ন দাবি জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার আহ্বান জানান ।
সভার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আব্দুল হান্নান তার বক্তব্যে বলেন যে, লিডার্স জলবায়ু নিয়ে ব্যাপক পরিসরে কাজ করছে। তারা স্থানীয় পর্যায়ে, জাতীয় পর্যায়ে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ুর প্রভাব কতটা সংকট সৃষ্টি করছে তা সার্বিকভাবে তুলে ধরছে। তিনি আরো বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমরাই উপকূলের মানুষ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তার মতে সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীতে আমাদের মানুষ তথা সৃষ্টির পাশে দাঁড়ানোর জন্য পাঠিয়েছে। তাই আমাদের সৃষ্টি অর্থাৎ জীববৈচিত্রকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেক মতের মানুষ থাকবে। কিন্তু বহু মতের মধ্যেও যেন ঐক্য থাকে। তিনি তার বক্তব্যে আমাদের সবাইকে বৃহৎ স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার আহ্বান জানান।
উক্ত সভায় জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাবে উপকূলের সংকটে করনীয় নিয়ে সকলে মতামত ব্যক্ত করেন। আগামী ছয় মাসে উক্ত ফোরামের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। উক্ত পরিকল্পনা উপকূলের মানুষের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখবে বলে ফোরামের প্রত্যাশা।