সোমবার ● ২৪ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » পরিবেশ » মাগুরায় পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে ৮ নদী ; নেই নাব্যতা
মাগুরায় পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে ৮ নদী ; নেই নাব্যতা
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার নদীতে এখন পানি নেই ।বর্ষা মৌসুমে আগে নদীগুলোতে নদী থাকার কারণে এ অঞ্চলের জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো । কিন্তু এখন কোন নদীতে পানি না থাকার কারণে জেলেদের নেই সেই মাছ ধরা । নদীতে নাব্যতা না থাকার কারণে নদী তার গতিপথ হারিয়েছে । নদীতীর বতী অঞ্চলের মানুষ নদী দখল করে গঠছে বাড়ি,কেউ গড়ছে প্রতিষ্ঠান ।
নবগঙ্গা,কুমার,ফটকি,চিত্রা,গড়াই,মধুমতি,হানু, বেগবতি এ ৮ নদ-নদীগুলোতে বছরের পর বছর ধরে জমা পলি অপসারণ না করায় নদীগুলো এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। এতে পরিবেশের চরম বিপর্যয় ঘটছে। তেমনি জীব বৈচিত্র পড়েছে চরম হুমকিতে। জেলার ৮টি নদ-নদী এখন পানিশূণ্য। এসব নদ-নদী বুকে জেগে উঠা চরে এখন কৃষকেরা ধান,পাট,গম,পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফলের আবাদ করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নদী পাড়ের জেলা মাগুরf। জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট বড় ৮টি নদ-নদী। ৩০ বছর আগেও এসব নদীর বুকে চলাচল করতে মাল বোঝাই বড় বড় পাল তোলা নৌকা। পানি প্রবাহ না থাকা নদীর তলদেশে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীগুলো তার নব্যতা হারিয়েছে। এ সব নদী সমতল থেকে নদীর গভীরতা এখন স্থান ভেদে মাত্র ৩ থেকে ৫ ফুট। সরকারি ভাবে নদী খনন করলেও সেটা তেমন কাজে আসেনি।
ফটকি নদী,চিত্র ঝিনাইদহ জেলা কালিগঞ্জ থেকে উৎপত্তি হয়ে মাগুরা শালিখা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পলির কারণে নদীর উজান প্রায় ১৮.০০ কিলোমিটার নদী ভরাট হয়েছে। অন্যান্যা স্থানে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া ধারণ ক্ষমতার বেশি হৃাস পেয়েছে।
গড়াই নদী দিন দিন নদী প্রবাহ কমে যাওয়ায় পলি পড়ে ক্রমানয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বর্সা মৌসুমে বেশ কিছু স্থানে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেয়। তবে মধুমমতি নদীর বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠেছে। শুধু গাড়াই,মধুমতি নয় হান নদীর পানি প্রবাহ না থাকায় শুঙ্খ মৌসুমে নদীতে পানি থাকে না। কুমার নদী পলি পড়ে দিন দিন ভরাট হয়েছে।
৬৪টি জেলায় ছোট বড় নদী খাল এবং জলাশয়ে খনন প্রকল্প যদি অবাহত রাখায় যায় তাহলে এই হারিয়ে যাওয়া নদ-নদী গুলো ফিরে পাবে তার আপন প্রাণ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহি প্রকৌশলী সোরাওয়ার জাহান সুজন বলেন,মাগুরা জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদীগুলো অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এ সকল নদ-নদী,খাল,জলাশয় পূণ:খনন প্রকল্প আতাওয়া প্রস্তাব প্রেরণ করেছি। যদি প্রকল্পগুলো পাশ হয় এই নদীগুলো খনন করা সম্ভব হবে।