সোমবার ● ১৮ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » ৫ বছরে পাইকগাছায় ২ হাজার ৮শ ৭৩ মেট্রিকটন অতিরিক্ত চিংড়ি ও মাছ উৎপাদন
৫ বছরে পাইকগাছায় ২ হাজার ৮শ ৭৩ মেট্রিকটন অতিরিক্ত চিংড়ি ও মাছ উৎপাদন
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
সরকারের নানামুখি পদক্ষেপ, মৎস্য অধিদপ্তরের নিবিড় তদারকি ও উন্নত চাষাবাদের ফলে গত ৫ বছরে চিংড়ি অধ্যুষিত পাইকগাছা উপজেলা থেকে অতিরিক্ত ২ হাজার ৮শ ৭৩ মেট্রিকটন চিংড়ি ও মাছ উৎপাদন হয়েছে। একই সাথে পূর্বের চেয়ে হেক্টর প্রতি ৪৫ কেজি চিংড়ি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ১৯-২৫ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ- ২০১৬ উপলক্ষে উপজেলা মৎস্য দপ্তর সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। সূত্রমতে, ৮০’র দশকে উপকূলীয় এ উপজেলায় শুরু হয় লবণ পানির চিংড়ি চাষ। বর্তমানে উপজেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ছোট বড় প্রায় ৪ হাজার চিংড়ি ঘের রয়েছে। শুরুতেই সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করার ফলে হেক্টর প্রতি উৎপাদন ছিল খুবই কম। ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে চিংড়ি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে নানা মুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। একই সাথে নিবিড় মনিটরিং করে মৎস্য দপ্তর কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ধীরে ধীরে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় চিংড়ি ও অন্যান্য মাছের। উপজেলা মৎস্য অফিসের সূত্রমতে, ২০১০ সালে উপজেলা থেকে চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ উৎপাদন হয় ১১ হাজার ৮শ ৫৯ মেট্রিকটন। যার মধ্যে চিংড়ি ৫ হাজার মেট্রিকটন, পারশে, টেংরা সহ সাদা মাছ ২ হাজার ৪শ ৩৯ মেট্রিকটন, কাঁকড়া ৩ হাজার ২শ মেট্রিকটন, অন্যান্য চিংড়ি ১ হাজার ১শ ৬০ মেট্রিকটন। একই বছর হেক্টরপ্রতি চিংড়ি উৎপাদন হয় ৩শ কেজি। উৎপাদন বৃদ্ধির এ ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকায় ২০১৫ সালে এসে চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ উৎপাদন হয় ১৪ হাজার ৭শ ৩২ মেট্রিকটন। যার মধ্যে চিংড়ি ৫ হাজার ৯শ ৬০ মেট্রিকটন, সাদা মাছ ৪ হাজার ৭শ ২২ মেট্রিকটন, কাঁকড়া ৪ হাজার ৫০ মেট্রিকটন। হেক্টর প্রতি চিংড়ির উৎপাদন দাড়ায় ৩৪৫ কেজি। যা বিগত ৫ বছরে মোট উৎপাদনের ২ হাজার ৮শ ৭৩ মেট্রিকটন বেশি। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম রাসেল জানান, সরকারের নানামুখি পদক্ষেপ, মৎস্য অধিদপ্তরের নিবিড় তদারকি ও উন্নত চাষাবাদের ফলে সারা দেশের ন্যায় মৎস্য অধ্যুষিত এ উপজেলায় চিংড়ি সহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বেড়েছে।