রবিবার ● ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » সারাদেশ » টানা বর্ষণে পাইকগাছার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত; ধানের ক্ষতির শঙ্কা, বেড়েছে জনদূর্ভোগ
টানা বর্ষণে পাইকগাছার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত; ধানের ক্ষতির শঙ্কা, বেড়েছে জনদূর্ভোগ
নিন্মচাপের প্রভাব ও টানা পাচদিনের ভারি বৃষ্টিতে পাইকগাছার নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বৃস্টি আর জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে উপকূল। রোপা আমনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পানিতে পুকুর-ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। বাড়ির উঠান,রাস্তা ডুবে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিন্ম চাপে পরিণত হওয়ায় মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় উপকূল এলাকার জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধের ভিতর ও বাইরের শত শত চিংড়ি ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। রোপা আমনক্ষেত তলিযে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনাবৃস্টি ও অতিবৃস্টি বারবার এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকরা ক্ষতির শিকার হচ্ছে। টানা ভারি বর্ষণে এলাকায় দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় যানবহন ঠিকমত চলাচল করেনি। টানা বর্ষণের কারণে দিন মজুররা কাজ করতে পারেনি। এতে সংসারে টানাটানি পড়েছে। তাছাড়া সবচেয়ে বিপাকে পড়েন নিন্ম আয়ের দিন মজুর। সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হয়। রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নিন্মচাপের প্রভাবে এলাকার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি ও বৃস্টিতে পানির স্রোতে বাধ ভেঙ্গে গেছে। এতে অনেক এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে।ঝুকিপূর্ণ বাধগুলিতে স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করা হয়েছে। পৌর বাজার ও রাস্তা তলিয়ে চলাচল ব্যাহত হয়। অনেক নিচু এলাকা পানিতে ভাসছে। ভারি বৃস্টিতে কাচা ঘরবাড়ী ধসে পড়ায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার চিংড়ি লীজ ঘেরে সদ্য রোপনকৃত আমন ধানের ক্ষেতসহ সকল ক্ষেত তলিয়ে গেছে। নদীতে ভাটা সরলে পানি নেমে যাবে এতে ধানের তেমন ক্ষতি হবেনা বলে জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ। মৎস্য লীজ ঘের গুলোতে আমন রোপন চলছে।তাছাড়া অন্য সকল ক্ষেত রোপন সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় জোয়ার-ভাটা থাকায় বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। এতে করে আবাদের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে তিন দিনের বেশী রোপনকৃত ধান পানির নিচে তলিয়ে থাকলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।