বৃহস্পতিবার ● ২৪ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » জাতীয় » খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি-কয়েদি মারামারি ঘিরে উত্তেজনা
খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি-কয়েদি মারামারি ঘিরে উত্তেজনা
স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জেলখানার পাগলাঘন্টা বাজানো হলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কারাগারের বাইরের পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়।
খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এখন কারাগারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে সাক্ষাৎ কক্ষে হাজতি হোসেন মুন্সি জেলখানার কয়েদী সেলিমকে (রাইটার) মারপিট করে। এ সময় হাজতি ও কয়েদীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেলিম তার ওয়ার্ডে গিয়ে পরিচিত কয়েদীদেরকে নিয়ে হোসেনকে খুঁজতে থাকেন। এ নিয়ে জেলের ভিতরেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে জেলার আবু সায়েম বিষয়টি জানতে পেরে জেলের অভ্যন্তরে গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে দেন।
পরবর্তীতে পুনরায় আবারও একই আসামিরা একই কায়দায় ডাক-চিৎকার শুরু করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে থাকেন। এমনকি কর্তব্যরত কারারক্ষীদের জেলখানা থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কিছু অতিরিক্ত কারারক্ষী ভিতর প্রবেশ করলে আসামিরা তাদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন এবং তাদেরকেও বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় বিকেল ৪টার দিকে খুলনা জেলা কারাগরের মধ্যে এলার্ম বাজানো হয়। একই সময়ে কারারক্ষীগণ তাৎক্ষণিক আসামিদের তাদের সেলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
এলাকাবাসী এবং আশপাশে থাকা হাজতি কয়েদীদের আত্মীয় স্বজনগণ জানান, কারাগারের ভিতরের পরিস্থিতি বাইরেও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টহলরত সেনাবাহিনীকে অবহিত করলে সেনাবাহিনীর দুইটি গাড়ি এসে অবস্থান নেয়। এতে আশপাশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
সেনাবাহিনী আসার পর জেলার আবু সায়েম অতিরিক্ত কারারক্ষী নিয়ে জেলখানার ভেতরে প্রবেশ করেন। তিনি আসামিদের নিজ নিজ সেলে প্রবেশ করান। বর্তমানে জেলখানার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান জেল সুপার। তবে এই ঘটনায় কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি বলেও জানান জেল সুপার।