রবিবার ● ২৭ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » উপকূলীয় সংকট সমাধানে কার্যকর পরিকল্পনা নিয়ে কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন
উপকূলীয় সংকট সমাধানে কার্যকর পরিকল্পনা নিয়ে কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
খুলনা সি এস এস আভা সেন্টারে ২৫ অক্টোবর ও ২৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে উপকূলীয় সংকট সমাধানে কার্যকর পরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য আয়োজিত দুই দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি, এবং উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুসংস্থান রক্ষায় সুপরিকল্পিত করণীয় নির্ধারণের উপর জোর দেওয়া হয়। কর্মশালাটি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, গবেষক, পরিবেশবিদ, এবং উন্নয়ন কর্মীদের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়েছে, যা উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে কাজ করেছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হ খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোঃ আশরাফুল আলম। আরো উপস্থিত ছিলেন লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহন কুমার মন্ডল। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভাপতি জনাব গৌরাঙ্গ নন্দী, খুলনা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সম্পাদক জনাব মাহফুজুর রহমান মুকুল, কালের কন্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক জনাব নিখিল চন্দ্র ভদ্র, উত্তরণের টেকনিক্যাল অফিসার জনাব শেখ সেলিম আক্তার স্বপন, কুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক জনাব আনজুম তাসনুভা, আরবান এন্ড রিজিওনাল প্লানিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব ডঃ তুষার কান্তি রায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব মোল্যা শফিকুর রহমান , রূপান্তরের তথ্য অফিসার জনাব শেখ আব্দুল হালিম প্রমুখ। এসময় যশোর থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন কমিটির আইন বিষয়ক সদস্য জনাব অনিল বিশ্বাস, ভুক্তভুগী শিলা রানী মল্লিক, মোংলা থেকে পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের মো. নূর আলম শেখ, নদীকর্মী হাছিব সরদার, শ্যামনগর থেকে জনাব রণজিৎ কুমার বর্মন, জনাব মানবেন্দ্র দেবনাথ, সাতক্ষীরা থেকে অধ্যক্ষ আশেক-ই-ইলাহী সহ আরো অনেকে।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন যে, “উপকূলীয় সংকট মোকাবিলায় এই কর্মশালায় প্রাপ্ত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। এই উদ্যোগ আমাদের উপকূল রক্ষায় একটি মাইলফলক হতে পারে।”
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সুপেয় পানি, স্বাস্থ্যসেবা, পুনর্বাসন, এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণের জন্য নীতিমালা নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। একই সঙ্গে তারা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে কৃষি ও মৎস্য সম্পদ রক্ষার জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করেছেন। স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতেও বেশ কিছু কার্যক্রম প্রস্তাব করা হয়েছে।
কর্মশালার শেষ দিনে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে উপকূলীয় সংকট সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে পাঠানো হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা নেওয়া সম্ভব হয়।