তালায় পাটের বম্পার ফলন, সোনালী স্বপ্নে কৃষকের মূখে সুখের হাসি

বাবলু রহমান তালা সাতক্ষীরা :- পাট বাংলাদেশের সোনালী আশ আর তাই ধন্য রাজার পূর্ন দেশ, প্রাকৃতির এই বাংলাদেশ। সময়মতো বর্ষা হওয়ার কারনে সকল বৃক্ষরাজীগুলো শুধু ফুলে ফুলে ভরে যায়নি, শস্য,শ্যামল, সবুজে ঘেরা তালা উপজেলার কৃষকেরা পিছিয়ে থাকেনি তাদের বিভিন্ন ফসলাদি  উৎপাদনের ক্ষেত্রে। গ্রামীন ঐতিহ্য বজায় রাখার দৃড় পত্যয় নিয়ে মাঠে নামলেও পরপর বেশ কয়েক বছর নানান প্রতিকুলতার কারনে এ সকল চাষাবাদ যেন তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছিলো। বর্তমানে সে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অনুকুল পরিবেশে এবার পাট চাষ করেছে কৃষকেরা। এক সময়ের সোনালী আঁশ পাটের সুদিন আবার ফিরে আসেছে তালা উপজেলায়। আর কৃষকেরা দেখছে সোনালী স্বপ্ন ,জলবায়ু পরিবর্তনে প্রাকৃতিক পরিবেশ বাঁচতে পরিবেশবাদ্ধব পাটের গৌরব ফিরে আসার উজ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যাতে করে এ এলাকার  সোনালী আঁশ পাট ফিরে পাবে তার হারানো যৌবনকে। পাট ও পাট শিল্পের উন্নয়ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এবছর সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে পাটের আশাম্বিত ফলন হয়েছে। এখানকার গ্রামের মেঠো পাথের দু পাশ দিয়ে পাট চাষের সারি সারি মেলা চোখে মেলে। পাট মৌসুমের প্রায় শেষ সময় এখন। ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করেছে কৃষকদের। তাদের মুখে একটি কাথা, গত কয়েক বছর লোকসান হলেও এবছর বাজারে পাটের ভালো দাম পাবো।,নেহালপুর গ্রামের কৃষক আলমঘীর গাজীর সাথে কথা হলে তিনি জানান  গতবছর বৃষ্টির অভাবে পাটের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পড়েছিলো তাছাড়া পাটের বাজার দামও খুব কম ছিলো  কিন্তু এবছর যথা সময়ে পানি পেয়েছি যে কারনে পাটের ফসলও ভালো হয়েছে পাশাপাশি এবার পাটের বাজার দরও খুবভালো পাবো বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা যায়, তালা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে এ বছর প্রায় ৩ হাজার ২শত হেক্টর জমিতে  পাটের চাষ করা হয়েছে। এ সব পাটের বয়স তিন থেকে চার মাস। চাষীরা পাট বীজ বপনের পরপরই প্রাকৃতিক অনুকুল পারিবেশ পেয়েছে। যে কারনে অন্য বছরের তুলনায় এবার পাট অত্যান্ত ভালো হয়েছে।