শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
শুক্রবার ● ১৫ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ » নড়াইলে ধানখেত থেকে শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
প্রথম পাতা » অপরাধ » নড়াইলে ধানখেত থেকে শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
২২ বার পঠিত
শুক্রবার ● ১৫ নভেম্বর ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নড়াইলে ধানখেত থেকে শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

---

নড়াইল প্রতিনিধি; নড়াইলের নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের ধানখেত থেকে ছয় বছরের শিশু হামিদা খানমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রশি দিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হামিদা পাকুড়িয়া গ্রামের সাহানুর শেখের মেয়ে। এর আগে ওইদিন (বৃহস্পতিবার) সকালে বাড়ির পাশ থেকে হামিদার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়া চিরকুট পেয়েছিল শিশুটির পরিবার।

পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হামিদার মা জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। ওইদিন দুপুরে হামিদা মায়ের কাছ থেকে আপেল নিয়ে বাড়ির পাশে সাথীদের সঙ্গে খেলতে যায়। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় তার খোঁজ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি পাশে ধানখেতে হামিদার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। রশি দিয়ে তার হাত বাঁধা এবং কচুরিপানা দিয়ে মরদেহ ঢাকা ছিল। এ ঘটনায় পরিবারসহ গ্রামবাসীর মাছে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে হামিদাদের বাড়ির পাশ থেকে হত্যার হুমকি দেয়া চিঠি উদ্ধার করে তার পরিবার। হামিদার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বুধবার রাতে কে বা কারা হামিদাদের বাড়ির পাশে একটি চিরকুট ফেলে যায়। সেই চিরকুটে (চিঠি) ভুক্তভোগী সাহানুর শেখ এবং তার ভাইয়ের সন্তানদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। পূর্বশত্রæতার জের ধরে যারা হত্যার হুমকি দিয়েছিল, তারাই হামিদাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।

ওই চিরকুটে লেখা ছিল-’তোরা যদি খুদ চালান দিস তাহলে মনে রাখবি, তোর সন্তানদের মধ্যে একজনকে হারাবি বা তোর ভাইয়ের মেয়েকে। এটা আমার শেষ কথা।’ চিঠির শেষে নিহত হামিদা ও শামিমার নাম লেখা ছিল।

স্থানীয়রা জানান, এ এলাকায় কোনো ব্যক্তির কিছু হারালে, ক্ষয়ক্ষতি বা চুরি হলে, তা খোঁজার মাধ্যম হিসেবে ঝাড়ফুঁক দিয়ে ভাঙা চালভাজা (খুদ) সন্দেহভাজনদের খাওয়ানোর প্রথা চালু আছে। যা স্থানীয় ভাষায় ‘খুদ চালান’ বলে। আবার ক্ষুর (ধারালো অস্ত্র) চালান দেয়ারও প্রথা আছে। তাদের বিশ্বাস খুদ বা ক্ষুর চালানে দোষী ব্যক্তিকে সহজে শনাক্ত করা যায়।

সম্প্রতি হামিদাদের পরিবারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে খুদ বা ক্ষুর চালান দিতে চেয়েছিলেন তারা। খুদ চালান ঠেকাতে হামিদাদের পরিবারে হত্যার হুমকি দিয়ে চিরকুট দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এমনটি জানিয়েছেন হামিদার পরিবার।

এ ব্যাপারে নড়াগাতি থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।





আর্কাইভ