বৃহস্পতিবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » কৃষি » শ্যামনগরে লিডার্সের বোরো মৌসুমে লবণ ও খরা সহনশীল ধান,সবজি বীজ ও জৈবসার বিতরণ
শ্যামনগরে লিডার্সের বোরো মৌসুমে লবণ ও খরা সহনশীল ধান,সবজি বীজ ও জৈবসার বিতরণ
শ্যামনগরে লিডার্স কর্তৃক বোরো মৌসুমে লবণ ও খরা সহনশীল ধানবীজ, সবজি বীজ ও জৈবসার বিতরণ। ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের বাস্তবায়নে এবং জার্মান দাতা সংস্থা ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ডের আর্থিক সহযোগিতায় “জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের জীবন-জীবিকা নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রম” প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় এলাকায় অভিযোজিত কৃষি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে লিডার্স এর প্রধান কার্যালয়ে ১০৯৩ জন কৃষকের মাঝে লবণ ও খরা সহনশীল ৩১০০ কেজি ধানবীজ, ১০৯৩০ কেজি জৈবসার ও সবজিবীজ বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ নাজমুল হুদা। সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ৭ নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিপা চক্রবর্তী, লিডার্সের প্রকল্প সমন্বয়কারী লায়লা খাতুন, প্রধান হিসাবরক্ষক মোঃ রায়হান কবির। লিডার্সের কর্মকর্তা মোঃ শওকৎ হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন লিডার্সের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মুন্সিগঞ্জ ও ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের উপকারভোগীগণ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাব মোঃ নাজমুল হুদা তার বক্তব্যে বলেন যে কৃষি যত প্রযুক্তি নির্ভর হবে কৃষিতে উন্নয়ন তত সম্প্রসারিত হবে। তিনি ধানের পাশাপাশি বেশি করে সবজি উৎপাদন ও প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে শাক সবজি একটু বেশি পরিমাণে রাখার পরামর্শ দেন। বর্তমান সময়োপযোগী লবন ও খরা সহনশীল ধানের জাত নির্ধারন ও সরকারের পাশাপাশি কৃষি খাতে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি লিডার্সকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
জনাব নিপা চক্রবর্তী তার বক্তব্যে বলেন যে, লিডার্স মূলত কৃষি,পানি এবং বিভিন্ন জলবায়ু সংকট এই ৩টি বিষয়ে এই এলাকাতে কাজ করে। এছাড়া কৃষকদের ন্যায্য মুজ্ুির নিয়েও কাজ করে আসছে। লিডার্সের এইসব কাজের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মানুষ অধিক উপকৃত হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি লিডার্সের সকল উন্নয়নমূলক কাজের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে লিডার্সের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি কামনা করেন। বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপকারভোগীদের মধ্যে ২ জন কৃষাণী তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে লিডার্সের প্রতি কৃতজ্ঞতা তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুরে্যাগ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে দুরে্যাগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং দুরে্যাগ সহনশীল কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে এবং কৃষকদের বোরো মৌসুমে লবণ ও খরা সহনশীল ধান চাষে আগ্রহী করণের লক্ষ্যে শ্যামনগর ও কয়রার পাঁচটি ইউনিয়নে ৩১০ জন উপকারভোগী প্রত্যেক কৃষকের মাঝে ১০ কেজি খরা ও লবণ সহনশীল ধান বীজ (বিনা-১০, ব্রি-৬৭, ব্রি ৯৯ ও ব্রি ৯৭ ) ও ৭৮৩ জন কৃষকের মাঝে সবজি বীজ এবং প্রত্যেকের মাঝে ১০ কেজি করে জৈব সার বিতরণ করা হয়েছে।