রবিবার ● ৭ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » ডুমুরিয়া উপজেলায় পূর্ব-বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির আঞ্চলিক ক্যাডারের হুমকিতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ জনসাধারন
ডুমুরিয়া উপজেলায় পূর্ব-বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির আঞ্চলিক ক্যাডারের হুমকিতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ জনসাধারন
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
শান্ত ডুমুরিয়া উপজেলা আবারও অশান্ত করার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব-বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি সংগঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ সাধারন মানুষের খুন করার পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ায় তারা এখন আতঙ্কে রয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা দীর্ঘ দিন ধরে নিউ-বিপ্লবী কমিউনিষ্টপার্টির প্রধান মৃনাল বাহীনি সাধারন মানুষের জিন্মি করে এলাকায় অশান্তিতে রেখেছিলো। তার মৃত্যুর পর এ-অঞ্চলে নতুন একটি সন্ত্রাসী বাহীনি সংগঠন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মৃত সন্ত্রাসী জব্বারের ছোট ভাই খালেক সরদার। সে পূর্ব-বাংলার আঞ্চলিক প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর এই দায়িত্বের পিছনে অর্থজোগানদাতা, আশ্রয়দাতা হিসাবে রয়েছেন এক আঃ লীগ নেতা। এ ব্যাপারে শোভনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুরজ্ঞিত কুমার বৈদ্য বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পরে যখন ইউনিয়নকে মডেল করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, হঠাৎ জানতে পারি আমাকে জীবনে মেরে ফেলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব-বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির এ-অঞ্চলের আঞ্চলিক নেতা কুখ্যাত সন্ত্রাসী খালেক সরদারের মাধ্যমে আমাকে জীবনে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত করে। আমার মেরে ফেলার পরিকল্পনার শুটার হিসাবে বেচে নিয়েছিল খর্ণিয়া ইউনিয়নের গোনালী বামুন্দিয়া গ্রামের সাইফুল শেখকে। সাইফুল শেখ বলেন আমাকে অগ্রিম ২০হাজার টাকা দিয়েছিলো কিন্তুু আমি সাইফুল পূর্বের সকল অপরাধ জগৎ থেকে বর্তমানে ভালোর পথ বেছে নিয়েছি সেটি খালেক জানতনা। সন্ত্রাসী খালেকের ০১৮২৬-৫৬২১৯৩ নম্বরে সকল পরিকল্পনার কথা রেকর্ড করা হয়। আর এই রেকর্ডে উপজেলার এক আঃলীগ নেতার অর্থসহ পরিকল্পনা প্রধানের নাম রয়েছে। শুটার সাইফুল শেখ আরও বলেন আমি ভালো হতে চাই কিন্তু তারা আমাকে ভালো হতে দেবেনা বলে চেয়ারম্যান সুরজ্ঞিত কুমার বৈদ্যকে গুলি করে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত হয় এবং ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়েছিল সন্ত্রাসী খালেক সরদার। যখন একের পর এক মেরে ফেলার ধার্য্যকরা সময় পার হয় তখন খালেকের মোবাইল নম্বর দিয়ে আমাকে হুমকি দিতে থাকে যে কারনে বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যনকে বিষয়টি খুলে বলি। সকল পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ায় বর্তমানে আমি নিজেই জীবনের ভয়ে রয়েছি। ওই নম্বরে খালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যাইনি তাকে । এলাকার বিভিন্ন শ্রেনির মানুষ চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে আলোচনার গুজ্ঞন চলচ্ছে আবার নতুন করে পূর্ব বাংলা কমিনিষ্ট পার্টি সংগঠিত হচ্ছে ডুমুরিয়া উপজেলায় সাধারন মানুষের মধ্যে এখন আতংঙ্ক বিরাজ করছে।