

শনিবার ● ১ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » খুলনা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে মশারী মিছিল-সমাবেশ
খুলনা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে মশারী মিছিল-সমাবেশ
মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় নিয়মিত মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে খুলনা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে এক মশারী মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে এক মার্চ শনিবার বেলা ১১ টায় মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি পিকচার প্যালেস মোড় থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
খুলনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অ্যাড. আ ফ ম মহসীন এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার এর সঞ্চালনায় এতে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন- বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান, গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, নাগরিক নেতা মিনা আজিজুর রহমান, মিজানুর রহমান বাবু, জাসদ নেতা রেজাউল করিম, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন আন্দোলনের চেয়ারম্যান শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু তাহের, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান মুন্না, সিপিবি নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, কবি ও সাংবাদিক আবু আসলাম বাবু, কবি ও গবেষক সৈয়দ আলী হাকিম, কবি নুরুন নাহার হীরা, কবি তৈফুন নাহার, সমাজসেবক মীর কবির হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা এস এম চন্দন, কেএইচ ফাউন্ডেশনের খ ম শাহীন হোসেন, অ্যাড. মেহেদী হাসান, সাংবাদিক সংগঠক মোসলেহ উদ্দীন তুহিন, চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস, ইঞ্জিনিয়ার শাহ নেওয়াজ, মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, খুলনা মহানগরীর মশা নিধনে খুলনা সিটি কর্পোরেশন সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মশার উপদ্রব স্থায়ী রূপ লাভ করলেও সাম্প্রতিক সময়ে এ সঙ্কট অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। যে কারণে শুধু রাতেই নয়, দিনে রাতেও সবসময় মশার উপদ্রবে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসাবাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়াসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কিছুদিন আগেই ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া খুলনায় বলা চলে মহামারী আকার ধারণ করেছিল। ফলস্বরূপ অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন এবং আক্রান্তরা একটি স্থায়ী অসুস্থ জীবন যাপন করছেন। মাঝে মাঝে নগরীর সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর আশপাশে কিছু ঔষধ ছিটালেও মহানগরীর বিস্তীর্ণ এলাকা এর আওতায় আসেনি। বর্তমানে এ কার্যক্রমও সম্পূর্ণ বন্ধ বলেই আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে। প্রয়োজন ড্রেন, খাল, পুকুর, ডোবা, জলাশয়, নর্দমা, ঝোঁপঝাঁড় ইত্যাদি নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মানসম্মত, ভেজাল বিহীন কীটনাশক পরিকল্পিত উপায়ে ছিটানো। এক্ষেত্রে প্রয়োজন মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণপূর্বক তা ধ্বংস করা এবং লার্ভা বিনষ্টে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ। অন্যথায় মশাবাহী রোগের কারণে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে, বলে বক্তারা আশংকা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নগরবাসীকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, বলে সমাবেশে জানানো হয়।