শিরোনাম:
পাইকগাছা, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

SW News24
সোমবার ● ৩ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » পাইকগাছায় ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পথে বসতে যাচ্ছে
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » পাইকগাছায় ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পথে বসতে যাচ্ছে
১১৩ বার পঠিত
সোমবার ● ৩ মার্চ ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পথে বসতে যাচ্ছে

---

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার পাইকগাছায় মৌসুমের মাঝ পথে ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনায় বে-কায়দায় পড়েছে ভাটা মালিক ও শ্রমিক-কর্মচরীরা। হঠাৎ ভাটা বন্ধের খবর শুনে ভাটা মালিক ও নারী-পুরুষ শ্রমিক-কর্মচারীরা শঙ্কায় রয়েছে। মাঝপথে ইটভাটা বন্ধ হলে কোটি-কোটি টাকার বিনিয়োগ ভেসেে যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে ভাটা মালিকরা। পথে বসবে এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন,মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন নম্বর-১৩৭০৫/২০২২ এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট প্রদত্ত নির্দেশনা মতে চলতি ৭ মার্চ এর মধ্যে উপজেলার সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ও ভাটায় কাঠের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল স্বাক্ষরিত পরিপত্রে আরোও উল্লেখ করা হয়েছে, যে সকল ইটভাটা নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে সে সকল মামলার তালিকা প্রস্তুত পুর্বক জরুরি ভিত্তিতে খুলনা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

এর পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার সকালে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন উপজেলার ১৩ ইটভাটা মালিকদের নিয়ে বৈঠকে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা দেন। এদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে সোমবার দুপুরে ইটভাটা মালিকরা এবিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

আল্লারদান ( এডিবি) ব্রিকস এর মালিক মো, আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন এসএকে ( মা) ব্রিকস এর মালিক রুহুল আমিন খাঁন, ত্রি-স্টার ব্রিকস এর- আশরাফুল আলম, মেসার্স এএসএম ব্রিকস এর - জি,এম অহেদুজ্জামান, সরদার ( এমএসবি) ব্রিকস এর- কামাল সরদার, ফাইভস্টার ব্রিকস এর- মো, মিরাজুল ইসলাম, বিএকে ব্রিকস এর-এম মহিউদ্দিন খান,সরদার মা ব্রিকস( এসএম)- নাজমুল হুদা মিথুন, ও বিসমিল্লাহ ( বিবিএম) ব্রিকস এর মালিক খলিলুর রহমান।

সভায় ভাটা মালিকরা মানবিক আবেদন জানিয়ে বলেন, বিগত ২০১২-২০১৩ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে ও ডিসি’র অনুমতি ও লাইসেন্স, প্রতিবছর সরকারি রাজস্ব, ভ্যাট,আয়কর, ভোক্তা অধিকার, ফাঁয়ার সার্ভিস,শ্রম অধিকার সনদ নিয়ে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছি। ভাটার শুরুতে কোটি-কোটি টাকা বিনিয়োগ করে নানা ঝুকিতে এ ব্যবসা করতে হচ্ছে। প্রত্যেক ইটভাটায় শত-শত নারী-পুরুষ শ্রমিক-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের জীবন- জীবিকা চলে এর উপর। কিন্তু মৌসুমের মাঝপথে হঠাৎ ইটভাটা বন্ধ করা হলে ভাটা মালিকরা পড়বেন চরম বিপদে। এর সাথে ও শ্রমিক-কর্মচারীা হবেন বেকার। সব মিলিয়ে উন্নয়ন ব্যাহত হবে।

এ বিষয়ে এডিবি ব্রিকসের মালিক মো, আঃ জলিল জানান, অনেক ইটভাটার গত ২২ বা ২৩ সাল পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র সহ অন্যান্য কাগজপত্র আছে। এখন পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র না দিলে আমরা মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন করে সরকারি নিয়মনীতি মেনে ভাটা পরিচালনা করে আসছি।

ত্রি-স্টার ব্রিকসের মালিক আশরাফুল আলম বলেন, এখন ভাটা মালিকরা বায়ুদূষণ রোধে সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তিতে কয়লা চালিত জিগজাগ ভাটা তৈরী করেছে। যা জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব। দেশের রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি, সব অবকাঠামো নির্মানে ইটের ব্যবহার হচ্ছে। এই শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্শন করেন।





আর্কাইভ