সোমবার ● ২ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » ডুমুরিয়ায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেনার টাকা ফেরৎ নিতে পরাজিত প্রার্থীরা মাঠে
ডুমুরিয়ায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেনার টাকা ফেরৎ নিতে পরাজিত প্রার্থীরা মাঠে
তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা না নিলে জনগন নির্বাচন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারাবে——–
অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া ঃ
২০১৬ খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে অর্থের কাছে নীতি আর্দশ, ভালবাসা-মানবতার পরাজয় ঘটেছে বলে ক্ষোপ প্রকাশ করেছে পরাজিত প্রার্থীরা। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থীরা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এমনকি ক্ষোপে দূঃখে অভিযোগ করে বলছেন বন্য প্রাণীর ধর্ম আছে,কিন্তু জনপ্রতিনিধি অধিকাংশ চেয়ারম্যান ও মেম্বররা ধর্ম হারিয়ে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি হয়েছে।
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় ২টি ভোট কেন্দ্র এর-মধ্যে মোটা অংঙ্কের টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ৬নং ওয়ার্ডে ৫টি ইউনিয়নের কতিপয় চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের। ২০১৬ খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার হিসাবে অংশ গ্রহন করেন ৩নং রুদাঘরা, ৪নং খর্নিয়া, ৫নং আটলিয়া, ৬নং মাগুরাঘোনা, ও ৭নং শোভনা ইউপির চেয়ারম্যান, মেম্বররা। সম্প্রতি পরাজিত ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থীরা ভোট মূল্যায়ন ও পর্যালোচনায় এমন অভিমত প্রকাশ করেছে। এদিকে আতঙ্কে পড়ে মর্যাদা রক্ষার জন্য পরাজিত ওয়ার্ডের সদস্যদের মধ্যে হামিদ চৌধুরি ও মেহেদি হাচান বিপ্লব-এর দেয়া অর্থ অনেক জন প্রতিনিধির নিকট থেকে ফেরৎ নেওয়া শুরু করেছে। গত ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার পরে ৩০ তারিখে হামিদুর চৌধুরির ভোট কেনা ১০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে শোভনা ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার স্বতি রানী মন্ডলের নিকট থেকে। এছাড়া বাকি মেম্বরদের কাছে দেওয়া টাকা ফেরৎ দেওয়ার হুমকি দিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৬ নং ওয়ার্ডের পরাজিত সাধারন সদস্য পদ প্রার্থী বিশিষ্ট সমাজসেবক মিলন মল্লিক বলেন ব্যাক্তি হিসাবে ভোট হয়নি টাকার লোভে ভোটাররা নীতি আদর্শ,ভালোবাসা-মানবতার পরাজয় ঘটিয়েছে। বিভিন্ন চায়ের দোকানে রাস্তাঘাটে আলোচনার ঝড়ঁ উঠেছে পরাজিত সাধারন সদস্য পদ প্রার্থী মেহেদি হাচান বিপ্লবের শেষ অবলম্বন জমি টুকু বিক্রি করে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে জয়লাভ করানোর জন্য প্রতিশ্রুতি দেন শোভনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান । তার ইউনিয়নের মেম্বরদের ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি হিসাবে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। যখন বিপ্লবের ভোটে পরাজয় ঘটে তখন গোপনে প্রার্থীর এক আতœীয় মাধ্যমে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ফেরৎ পাঠিয়েছে বলে জানা যায়। এ ব্যপারে পরাজিত সদস্য পদপ্রার্থী হামিদুর চৌধুরি বলেন আমি কি আপনার পত্রিকায় লিখতে বলেছি কয়দিন পরে সব বলবো।,বিপ্লবের আতœীয় এম এম সোয়েল মোড়ল কষ্ট পেয়ে ডুমুরিয়া চায়ের দোকানে বলেন চেয়ারম্যান সুরনজিত কুমার বৈদ্য টাকা নিয়ে ১টি ভোট দেইনি এরমতো বিশ্বাস ঘাতক হয় না ইতি মধ্যে কিছু টাকা দিয়েছে হুমায়ুন চাচার কাছে বাকি টাকার সময় নিয়েছে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান বলেন আমি কোন টাকা হাতে করেনি সে সকল মেম্বররা নিয়েছে তারা আমার নাম ব্যাবহার করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় এই নির্বাচনে ১টি ভোট সর্বচ্চ বিক্রি হয়েছে ১ লাখ টাকা এবং যে সাধারন সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছে সেই জয়ের মালা পরেছে। জনগণের মূখে এখন একটায় কথা চেয়ারম্যান ও মেম্বররা প্রকার্শ্যে টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার যে কোন নির্বাচনে সাধারন জনগণ টাকার দিকে ঝঁকে পড়বে। নির্বাচনি নিতিমালা কাগজ কলমে কিন্তু বাস্তবতা তার ভিন্ন সরকার বিষয়টি তদন্ত পূর্বক সঠিক ব্যবস্থা না নিলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারাবে জনসাধারন।